চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, মানবতা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্ম, ইতিহাস, ঐতিহ্য অনুশীলন ও জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে পাঠাগারের কোন বিকল্প নেই। কলকাতাস্থ চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই পাঠাগারটি ১৯০৪ সালে উন্নত মানস গঠন চর্চায় চট্টগ্রামে এই লাইব্রেরীটি স্থানান্তর করে। চট্টগ্রাম নগরীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত লালদিঘীর পাড়ের এই লাইব্রেরীটি বিট্রিশ কাউন্সিল সহ অনেক পাঠাগার প্রতিষ্ঠানের জন্মসূত্র। এই পাঠাগারে অনেক দুর্লভ গ্রন্থ, প্রামাণ্য দলিলসহ অনেক প্রকাশনাপত্র সংরক্ষিত আছে। তবে ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি ও আর্থিক অসক্ষমতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারেনি। আমার একাগ্রতা ও একান্ত ইচ্ছায় তা সম্ভব করতে পেরেছি। এজন্য এরসাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
আজ সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত লালদিঘী কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রন দপ্তর, লাইব্রেরী কমিউনিটি সেন্টার কাম সাইক্লোন সেন্টারটি উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এই শহরেই আমার বেড়ে উঠা। একসময় দেখেছি এই প্রতিষ্ঠানটির জৌলুষ। কিন্তু পরিচর্যার অভাবে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি অবহেলিত ও জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। এক সময় জ্ঞান অনুসন্ধানী নাগরিকরা এখানে ভিড় করতেন। তবে এর অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে এখানে সংরক্ষিত বই-পত্রসহ অনেক মূল্যবান দালিলিক পান্ডুলিপি ও লেখাপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। এটি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয়। তারপরও এই অবকাঠামোটিকে জ্ঞান চর্চাসহ একটি বহুমাত্রিক সেবামূলক স্থাপনা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এই পাঠাগারসহ বহুমাত্রিক সেবাপ্রতিষ্ঠানটি চালু হলে বই পড়ুয়াদের মনের খোরাক মিটবে। তবে এটাও সত্যি যে, একটি অবকাঠামোগত স্থাপনা হলেও লালন পালনের অভাব, বইপত্র সংগ্রহসহ অন্যান্য ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় আর্থিক সংকটের বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
উল্লেখ্য ১৪ কোটি ১৭ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে সাতান্ন হাজার দুইশত স্কয়ারফুটের ৭ তলা বিশিষ্ঠ এই ভবনের নীচ তলায় থাকছে পার্কিং, সাবস্টেশন, জেনারেটর, প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ট্যাংক ও টয়লেট ব্লক প্রথম তলায় রয়েছে ৩ হাজার বর্গফুটের কমিউনিটি সেন্টার,রান্নাঘর ও টয়লেট ব্লক, ২য় তলায় রয়েছে কেন্দ্রীয় দূর্যোগ নিয়ন্ত্রণ অফিস, মিটিং রুম, হিসাব শাখা, শহর তথ্য কেন্দ্র, রেকর্ড রুম, নিয়ামক কক্ষ, জিআইএস ইউনিট, টয়লটে ব্লক, তৃতীয় তলায় আছে শিক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,চতুর্থ তলায় আছে ১৬শ বর্গফুটের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার(ডিজিটাল ল্যাব)মিনি ক্যাফে, প্রশাসনিক কক্ষ, টয়লেট ব্লক, পঞ্চম তলায় রাখা হয়েছে,ফুটবল ক্লাব ও অন্যান্য ক্লাব,ওয়েটিং রুম,মিটিং রুম, ষষ্ঠ তলায় রয়েছে জিমনেশিয়াম(পুরুষ-মহিলা) ইনডোর গেইম, অফিসরুম, সপ্তম তলায় থাকছে ভিআইপি গেস্ট রুম, রুম সার্ভিস,চেঞ্জিং রুম।
এ সময় চসিক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম চৌধুরী, মিজবাহ-উল আলম, লাইব্রেরিয়ান এ আর ফারুকী, সহকারী লাইব্রেরীয়ান সৈয়দা পারভীন, বেলাল আহমেদ, এস এম মামুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
৩টি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার উদ্বোধন
নিজেকে সুরক্ষা ও সমাজকে সুরক্ষা করায় একটি মানবিক ও সামাজিক দায়
মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, শিক্ষা সংস্কৃতি প্রসারের পাশাপাশি সামাজিক অগ্রগতি এবং দূর্যোগ মোকাবেলায় আজ যে তিনটি সেবামূলক স্থাপনাগত অবকাঠামো উদ্বোধন হলো তা একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। এইসব স্থাপনার ব্যবস্থাপনায় জনবল নিয়োগ ও সেবার মান অক্ষুন্ন রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে মেয়র বলেন, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃত্ব মানুষের কাছাকাছি থাকলে মানবিক সংকট কখনো ঘণীভূত হবে না। তাই তিনি এই উদ্যোগের সাথে সংশ্লিষ্ট যারা ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন তাদের কর্মশক্তি ও সামাজিক দায়বদ্ধতাকে চলমান রেখে করোনাকাল পরবর্তী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই স্থাপনাগত অবকাঠামো যাতে সত্যিকারভাবে স্থানীয়জনদের জীবন যাপনে সামাজিক নিরাপত্ত বেষ্টনী তৈরী করতে পারে, সেই লক্ষে প্রত্যেকেরই নিজ নিজ সামর্থ্য ও অবদানকে উৎসর্গ করা সম্ভব হলে এখানে আমাদের কোন দু:খ, হতাশা, ক্লান্তি ও অবসাদ থাকবে না। আজ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা এবং নিজেকে সুরক্ষা ও অন্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে একটি কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করার ব্রত।
আজ রবীন্দ্র নজরুল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার , পশ্চিম মাদারবাড়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার ও পূর্ব মাদারবাড়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
এসব ভবন উদ্বোধনকালে শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, কাউন্সিলর হাজী ইসমাইল বালী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, নীলু নাগ, সাবেক কাউন্সিলর জহির আহমেদ, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী মিজবাহ-উল আলম, রিফাতুল করিম চৌধুরী, উপ সহাকারী প্রকৌশলী তানজিম ভূইয়া, মৃদুল কান্তি সিংহ, পশ্চিম মাদারবাড়ী সি/ক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপা চৌধুরী, রবীন্দ্র নজরুল চসিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপর্না ধর, আওয়ামীলীগ নেতা আতাউল্লাহ চৌধুরী, আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমেদ, শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, প্রকৌশলী আব্দুল রশিদ, উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, ৯ কোটি ৫২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫ তলা বিশিষ্ঠ রবীন্দ্র নজরুল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার, ৫ কোটি ৪২ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যয়ে পশ্চিম মাদারবাড়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার ও ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে পূর্ব মাদারবাড়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার সমূহ নির্মাণ করা হয়। জাইকার অর্থায়নে প্রতিটি ৫ তলা ভবনগুলোতে রয়েছে আধুনিক পাঠদানের জন্য লিফট, ৩ফেইজ ডিজেল জেনারেটর,সোলার প্যানেল,অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা,শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, বজ্রনিরোধক, মেডিকেল বেড, ল্যাব টেবিল, ওভারহেড ট্যাংক, রেইন ওয়াটার হার্ভেষ্টিং সিস্টেম, টয়লেট ব্লক, ক্যান্টিন, টিচার্সরুম,মিটিং রুম.ফাষ্ট এইড মেডিকেল রুম, মাল্টিপারপাস হলরুম ও সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
পূর্বমাদার বাড়ীতে সেবক নিবাস উদ্বোধন করলেন মেয়র
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, শহর পরিচ্ছন্ন রাখার গুরু কাজটি যারা করছে তারা আমাদের সেবক। এতদিন নিতান্তই অবহেলায় কেটেছে তাদের জীবন-মান। অথচ তাদের কারণেই আমরা প্রতিদিন সকালে একটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নগরীর মুখ দেখতে পাই। তাদের জীবন-মান ও বাসস্থান উন্নয়নে তাই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদের বাসস্থান তৈরীর জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় নগরীতে ৪টি সেবক নিবাস নির্মাণকাজ শুরু করেছি। এতে করে তাদের অনেকদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। আজ সকালে পূর্ব মাদারবাড়ী সেবক নিবাস নির্মাণকাজ উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
এসময় মেয়র আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী এক আতংকের নাম করোনা ভাইরাস। করোনা মহামারীর কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বিভিন্ন দেশে জরুরি অবস্থা জারী আবার কোথাও কোথাও শীতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষজনের আয়ের পথ সংকুচিত হয়েছে। এজন্য দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা সাময়িক দূর্ভোগে পড়েছে।
তিনি বলেন, এই সংকটকালীন সময়ে সেবকরা নিজেদের নিরাপদে রেখে নগরবাসীর সেবা দান করছেন সেজন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
উল্লেখ্য ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪ তলা বিশিষ্ঠ এই সেবক নিবাসে ৬শ স্কয়ার ফুটের ২শটি পরিবারের জন্য ফ্লাট বরাদ্দ থাকছে। এতে থাকছে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। উদ্বোধনকালে কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, নাজমুল হক ডিউক, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিলু নাগ, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমেদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, চসিক সিবিএ এর সভাপতি ফরিদুল আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, উপ সহকারী প্রকৌশলী নুর সোলেমান, হাজী বেলাল আহমদ, এস এম মামুনুর রশিদ, হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিষ্ণু লাল, কার্তিক দাশ, রঘুবীর দাশ উপস্থিত ছিলেন।
দামপাড়া পুলিশ লাইনে এলইডি বাতি স্থাপন কাজের উদ্বোধন: দামপাড়া পুলিশ লাইনে আড়াই কিলোমিটার রাস্তায় ১ শটি পুল ও ১শটি এলইডি লাইট স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
এসময় তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ মহামারী করোনাকালীন সময়ে যে মানবিককতার হাত প্রসারিত করেছে তা প্রশংসনীয়।
মেয়র সিএমপি কমিশনার এর সাহসী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি নিজে করোনা আক্রান্ত হয়েও স্বীয় সাহসিকতায় তা মোকাবেলা করে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন তা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সফল হলে অত্র এলাকায় বাসিন্দারা স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করার সুযোগ পাবেন।
সিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমান বিপিএম, পিপিএম চসিক কর্তৃক এই প্রকল্প বাস্তয়নের জন্য মেয়রের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করেন।
এসময় মেয়র করোনাকালীন সেবা দিতে গিয়ে যেসমস্ত পুলিশ অফিসার ও কনস্টেবল মারা গিয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপণ করেন।
এসময় চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম বিপিএম, মোস্তাক আহমেদ বিপিএম,পিপিএম, শ্যামল কুমার নাথ বিপিএম, উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ, আমির জাফর, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশসহ সিএমপি ও চসিকের সংশিল্লষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
২৪ ঘণ্টা/এম আর
Leave a Reply