বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় তার রুমমেট ও বুয়েট শিক্ষার্থী মিজানুর রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহ এই আদেশ দেন।
মিজান বুয়েটের ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সে আবরারে সঙ্গে এক রুমে থাকতেন।
গত ১০ অক্টোবর তাকে আটক করা হয়। ওই সময় অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে থাকা অবস্থায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। যার ওপর শুনানি শেষে বুধবার রিমান্ড মঞ্জুর হলো। রিমান্ড আবেদনের শুনানিকালে আসামি মিজানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।
মামলাটিতে এ পর্যন্ত ৮ জন শিক্ষার্থী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এরা হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান ও এএসএম নাজমুস সাদাত।
বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড শেষে কারাগারে গেছেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, শিক্ষার্থী সাসছুল আরেফিন রাফাত, আকাশ হোসেন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ ও মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা।
গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরার ফাহাদকে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।
আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটিতে এ পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Leave a Reply