রাউজানে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজানে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে এ বছর ১৪ ইউনিয়ন ও রাউজান পৌরসভাসহ ১৩ টি অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট নির্ধারণ করে দেন। অস্থায়ী পশুর হাটগুলো হচ্ছে উপজেলা হলদিয়া ইউনিয়নের ভট্টপাড়া মাঠ, ডাবুয়ায় মুছা শাহ স্কুল মাঠ, গহিরায় দলইনগর স্কুল মাঠ, রাউজান সদর ইউনিয়নে আর্যমৈত্রেয় ইনস্টিটিউশন স্কুল মাঠ, পাহাড়তলীতে পিংক সিটি-২, পূর্বগুজরায় অলিমিয়াহাট, পশ্চিম গুজরায় রঘুনন্দন চৌধুরী হাট, নোয়াপাড়ায় চৌধুরীহাট, উরকিরচর বাজার, বাগোয়ানে লাম্বুরহাট, নোয়াজিষপুরে নতুনহাট, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের চারাবটতল ও উপজেলা সরকারি কোয়ার্টারের খোলা মাঠ।

শুরুর দিকে কোরবানি পশুর হাটগুলো ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে মুখড়িত হয়ে উঠলেও বিক্রি ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

উপজেলার প্রতিটি অস্থায়ী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ নিয়মিতভাবে পশুরহাটগুলো পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেফায়েত উল্ল্যাহ রাউজান থানার ফোর্স নিয়ে প্রতিটি বাজারে লিফলেট, মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং প্রচারণা চালাচ্ছেন।

তবে প্রশাসনের নজরদারির পরও উপজেলার মুছা শাহ স্কুল মাঠ, চৌধুরীহাট, দলইনগর ও লাম্বুরহাটে সামাজিক দুরত্ব না মানার প্রবণতা চোখে পড়েছে বেশী।

রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, রাউজানের সাংসদের পরামর্শক্রমে, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা রাউজানের প্রতিটি কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাটে পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। মাস্ক ব্যাবহার না করায় বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত কোরবানির পশুর হাটে আমাদের তীক্ষ্ণ নজরদারি থাকবে।

রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ জমির উদ্দিন পারভেজ ও পৌর আ.লীগ নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রাউজান পৌর এলাকার ঐতিহ্যবাহী ও বৃহৎ কোরবানির পশুর বাজার চারাবটতলে উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করেছি।

রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেফায়েত উল্লাহ বলেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমরা রাউজান থানা প্রশাসন উপজেলার প্রতিটি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটে নিয়মিত মনিটরিং করছি। মাইকিং প্রচারণার পাশাপাশি জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন বসানোর ব্যাবস্থা নিয়েছি।

উপজেলার বিভিন্ন হাটে গিয়ে দেখা গেছে, শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে রাউজানের ১৩টি অস্থায়ী পশুর হাট, প্রতিটি হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি ছিল বেশী। গত দুই দিনে কোরবানির পশু বিক্রি ভালো হওয়ায় বেপারীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।

অন্যান্য বছর ৮০ থেকে ১ লক্ষ টাকার পশুর চাহিদা বেশী থাকলেও করোনার থাবায় দেশের অর্থনীতিতে মারাত্নক প্রভাব পড়ায় এ বছর ছোট ও মাঝারি সাইজের পশু বেশী বিক্রী হচ্ছে বলে জানান মৌসুমি পশু ব্যাবসায়ী মোঃ আজিম।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *