মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার পাশে আশরাফুল উলুম তাহফিজুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রকে রশি দিয়ে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের প্রধান মাওলানা ফয়জুল্লার বিরুদ্ধে।
গত সোমবার ২৮ তারিখ সন্ধ্যার সময় বারৈয়ারহাট বাজারের বিশিষ্ট কাঠ ব্যবসায়ী নুরুল আলমের ছেলে আব্দুর রহমানকে দুই পা বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই শিশু শিক্ষার্থী নির্যাতনে অসুস্থ হওয়ার পরও পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়নি এবং দেয়া হয়নি পর্যাপ্ত চিকিৎসা।
গত বুধবার (২৯ জুলাই) নুরুল আলম তার ছেলেকে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আনতে গেলে ছেলের পায়ের করুন অবস্থা দেখে শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ছেলেরা দুষ্টোমি করতে গিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে এমন অবস্থা হয়।
তবে নুরুল আলম তার ছেলেকে বাড়ি নিয়ে আসার পর বিস্তারিত জানতে চাইলে সে জানায় কিছু দিন পূর্বে এক রাতে ফয়জুল্লাহ হুজুর পায়ে রশি দিয়ে বেঁধে অন্য একজন ছাত্রকে বলে তাকে টেনে হিসড়ে বাহিরে নিয়ে যেতে।
এসময় ফয়েজুল্লাহ হুজুর রশি টেনে মাটিতে ফেলে টানাটানি করলে পায়ের চামড়া কেটে রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে। রক্ত দেখে হুজুর অন্য ছেলেদের কে বলে বাহিরে ফেলে দিয়ে আসতে। অন্য ছেলেরা তাকে রশি টেনে দরজার বাহিরে ফেলে দেয়।
ছেলের অভিযোগ শোনার পর এই অভিবাবক ফোনে হুজুরের কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি অস্বীকার করেন এবং জেরার মুখে পরবর্তীতে শিকার করেন যে তাকে শাসন করতে গিয়ে ভূল বশত এমন হয়েছে।
২৪ ঘণ্টা/এম আর/আশরাফ
Leave a Reply