চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা বান্ডেল রোড এলাকায় ১০ বছর আগে ডাকাতি করতে গিয়ে বৃদ্ধ গৃহকর্ত্রী ও শিশু গৃহকর্মীকে খুনের মামলায় একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (২৩ অক্টোবর) অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরীর আদালত এ রায় দেন।
একই রায়ে পৃথক ধারায় দন্ডিত আসামী মো. সোলায়মানকে (৩২) ১০ বছরের কারাদন্ড ও অনাদায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। রায় ঘোষণার পর ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি সোলায়মানকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তসলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২০০৯ সালের ১৮ আগষ্ট বিকেলে হত্যাকান্ডটি ঘটে। এ ঘটনায় নিহত বৃদ্ধ গৃহকত্রীর ছেলের দায়ের করা হত্যা মামলায় একবছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট আসামি সোলায়মানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
একই বছর মামলার অভিযোগ গঠন করার পর থেকে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে বুধবার আসামির বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেন আদালত।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৮ আগস্ট বিকেলে নগরীর কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোড এলাকার তিনতলা একটি ভবনের তৃতীয় তলায় ঘর ভাড়া নেওয়ার নাম করে ঘরে ঢুকে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি সোলায়মান। এসময় ঘরে ছিলেন বৃদ্ধ গৃহকত্রী নুরজাহান বেগম (৭০) ও শিশু গৃহকর্মী পপি (৭)।
একপর্যায়ে তাদেরকে জিম্মি করে ঘরের মালামাল লুট করতে চাইলে বাধা দেন নুরজাহান বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় ছুরিকাঘাত করে নুরজাহান বেগমকে হত্যা করে সোলায়মান। ঘটনাটি দেখে ফেলায় শিশু গৃহকর্মী পপিকেও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে তিন ভরি আট আনা স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায় সোলায়মান।
নিহত গৃহকত্রীর ছেলে ফারুক রাতে বাসায় এসে মা ও গৃহকর্মীর লাশ দেখতে পান এবং থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট আসামি সোলায়মানকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সোলায়মান।
Leave a Reply