চসিক বিকাল ৪ টার মধ্যে শতভাগ কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করেছে: মেয়র

নগরীর ওয়ার্ড সমূহ থেকে আনুমানিক পাঁচ হাজার টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণের টার্গেট নিয়ে কাজ শুরু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এই বর্জ্য অপসারণ কাজে সার্বক্ষনিক নিয়োজিত ছিল চসিকের প্রায় পাঁচ হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী। সরাসরি এ কার্যক্রম তদারকি করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

আজ বিকেলে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন নগরীর আলমাস সিনেমার সামনে, আগ্রাবাদ, পোর্ট মার্কেট, নিমতলা বিশ্বরোড, হালিশহর, পতেঙ্গা সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

এসময় তিনি প্রধান সড়কের বিভিন্ন ডাস্টবিনগুলোতে কোরবানি বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে নিয়োজিতদেরকে নানামুখী দিক নির্দেশনা দেন।

এছাড়া তিনি জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলরদের সাথে সার্বক্ষণিক মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। বর্জ্য অপসারণ কাজ আরো বেগমান করতে এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই নগর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ঠদের দিক নির্দেশনা দেন।

পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র নগরীর প্রধান সড়কে বিকাল ৪ টার মধ্যে এবং রাত ৮ টার মধ্যে অলিগলির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করার জন্য গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, বিকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কোরবানির বর্জ্য প্রায় পরিস্কার করা হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, এবার যেহেতু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে, সেজন্য বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে আলাদা সাবধানতা অবলম্বন করেছে চসিক। কোথাও যাতে বর্জ্য বা পানি জমে না থাকে সেব্যাপারে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এবছর বর্জ্য অপসারণ কাজে ৩৫০ টি গাড়ি সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা শতভাগ আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। এজন্য চসিক পরিচ্ছন্ন কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে এই ঈদে পরিবার পরিজনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দায়িত্ব পালন করছে। এজন্য তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাাছির উদ্দীন।

নগরীর কোথাও কোরবানির জবাইকৃত পশুর বর্জ্য কোরবানির দিন রাত ৮.০০ ঘটিকার পরে জমা হয়ে থাকতে দেখা গেলে তাৎক্ষনিকভাবে কন্ট্রোলরুমে ০৩১-৬৩০৭৩৯, ০৩১-৬৩৩৬৪৯ অথবা ০১৬৭৫২১৮৪৮৫ নম্বরে সংবাদ দেয়ার আহবান সিটি মেয়রের।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, গিয়াস উদ্দিন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লেঃ কর্নেল সোহেল আহমেদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কুমার দাশ, প্রধান পরিছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী জিসু, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, পরিছন্ন কর্মকর্তা শেখ হাসান রেজা, আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল আহমেদ, মহানগর যুবলীগ নেতা সুমন দেবনাথ, লিটন রায়,ওয়াহিদুল আলম শিমুল, এস এম মামুনুর রশিদ মামুন ও তাজউদ্দিন প্রমুখ।

এ সময় মেয়র নগরবাসীর সাথে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি বর্জ্য, নাড়িভুঁড়ি ও কোরবানীর পশুর উচ্ছিষ্ট অংশ নির্ধারিত ডাষ্টবিনে ফেলার অনুরোধ জানান।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *