চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় লাইসেন্স বিহীন অরক্ষিতভাবে অবাধে চলছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি। মান নির্ণয় ছাড়াই এই সব সিলিন্ডার গ্রামীন জনপদের মানুষ ব্যবহার করছে। কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই এ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে এসব গ্যাস সিলিন্ডার।
যেকোন সময় এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। গত বৃহস্পতিবার ( ১৭ অক্টোবর) আনোয়ারায় অ্যাম্বুলেন্সে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন জন নিহত ও চারজন আহত হওয়ার পর আনোয়ারার বিভিন্ন স্থানে সিলিন্ডার বিক্রি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক আরো বেড়ে যায়।
জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার একটি গ্যাস ক্ষেত্র থেকে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস উত্তোলন হলেও আবাসিক গ্যাস লাইনের সংযোগ পায়নি অধিকাংশ পরিবার। তাদের একমাত্র ভরসা সিলিন্ডার গ্যাস। যা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে উপজেলার সর্বত্র বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে অরক্ষিত অবস্থায়। অধিকাংশ বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে নেই বিস্ফোরক অধিদফতরের অনুমতি।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাট বাজারে ও প্রধান সড়কের মোড়ে দেখা যায়, সরকারী নীতিমালার তোয়াক্কা না করে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার দেদারছে বিক্রি করা হচ্ছে। দোকানের সামনে, এমন কি ফুটপাথেও সিলিন্ডার ফেলে রেখে এ ব্যবসা নির্বিঘ্নে পরিচালনা করছেন ব্যবসায়ীরা।
মুদির দোকান, হার্ডওয়ারের দোকান, ফ্ল্যাক্সি লোডের দোকান, মেশিনারি দোকানে, সারের ডিলার এবং চা-দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে সিলিন্ডার ভর্তি এসব গ্যাস। অরক্ষিত অবস্থায় বিক্রির উদ্দ্যেশে যত্রতত্র সিলিন্ডার মজুদ করার ফলে যে কোন মূহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। অনেক দোকানে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র থাকলেও তা অকেজো ও মেয়াদোত্তীর্ণ।
বর্তমানে এ উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারকারী প্রায় লাখের উপরে। ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের মন গড়া ভাবে যেখানে সেখানে সিলিন্ডারের বোতল মজুদ রেখে ব্যবসা করছে। বেশিরভাগ দোকানি শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে যেসব দোকানে সনদ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাসবিক্রি হচ্ছে সেগুলোকে আইনের আওতায় আনা হবে। শীঘ্রই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এসব দোকানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply