সাবরিনার ২ এনআইডি, ইসিতে দুদকের চিঠি

জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যে কারণ প্রকৃত তথ্য জানতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক সেলিনা আখতার মনি।

আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ডা. সাবরিনার বিষয়ে দুইটি আইডির তথ্য পায় দুদক। এ বিষয়ে জানতে নির্বাচন কমিশনের চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

দুদক সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর দেওয়া চিঠিতে ডা. সাবরিনা দুইটি জাতীয় পরিচয় পত্রের আইডির নম্বর দিয়ে গত ১৯ আগস্ট চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখনো চিঠির জবাব পায়নি দুদক। চিঠিতে অতি জরুরি কথা উল্লেখ করা হয়।

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে এরই মধ্যে জেলগেটে গত ২৪ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। একই ঘটনা ২৩ আগস্ট তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে দুজনেই নমুনা পরীক্ষা ও আত্মসাত করা অর্থের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেনি।

ধারণা করা হচ্ছে, নথিপত্রে বড় ধরণের গলদ থাকার কারণেই তাদের বক্তব্যে অসঙ্গতি ছিল।

এ ছাড়া তাদের সহযোগী আ স ম সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ওরফে হিমু ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী এবং প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে। গত ৬ আগস্ট জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের প্রার্থনা করে দুদক।

করোনার রিপোর্ট জালিয়াতির কারণে সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বহাল থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন ডা. সাবরিনা চৌধুরী। ১৫ হাজার ৪৬০টি জাল প্রতিবেদন তৈরি ও সরবরাহ করে তারা ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

গত ১৩ জুলাই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ডা. সাবরিনা চৌধুরী পেশায় একজন হৃদরোগ সার্জন। তার স্বামী আরিফ চৌধুরী। যার চতুর্থ স্ত্রী সাবরিনা।

আরিফের মালিকানাধীন জেকেজি হেলথ কেয়ার নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা ২৭ হাজার করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে। এর পর কোনো পরীক্ষা ছাড়াই ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া রিপোর্ট দেন। বাকি ১১ হাজার ৫৪০টি রিপোর্ট দিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) মাধ্যমে। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *