নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তাঁর কার্যালয়ে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রতিষ্ঠানের বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত শিক্ষা প্র্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির তালিকায় প্রতিষ্ঠানটির নাম না থাকায় ২৪ অক্টোবর বৃস্পতিবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটায় বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা।
খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা খুলে তাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন।
এমপিওভুক্তি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কুন্দল এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে গত ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটির নিম্ন মাধ্যমিক শাখা (৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণী) এমপিওভূক্ত হয়। এরপর বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক শাখা (নবম-দশম শ্রেণী) এমপিওভূক্তির জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সকল শর্ত পূরণ করে ও নিয়মকানুন মেনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে।
আবেদনের পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভূক্তি হবে এমন আশা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্তির ঘোষণা দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত এমপিওভূক্তির তালিকায় সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম না থাকায় বিদ্যালয়ের এমপিওভূক্তির অপেক্ষায় থাকা শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশায় পড়ে এবং বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন।
প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার যথারীতি শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাসে না গিয়ে বিদ্যালয়ের অফিসে অবস্থান নেন। এর এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায়ের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়ে তাকে তিন ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এ খবর অল্প সময়ের মধ্যে গোটা সৈয়দপুর শহরে ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রাশেদুজ্জামান রাশেদ বিদ্যালয়ে ছুঁটে যান। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেও অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে ঘটনাটি সৈয়দপুর থানা পুলিশকে অবগত করা হলে পুলিশ বিদ্যালয়ে পৌঁছে তালা খুলে প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায়কে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে।
বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায় বলেন, বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্তকরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকল শর্তপূরণ পূর্বক যথাযথভাবে আবেদন করা হয়। আর এমপিওভূক্তি করার এখতিয়ার সম্পূর্ণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এতে আমার কোন রকম গাফিলাতি কিংবা অবহেলা নেই। কিন্তু তারপরও শিক্ষক-কর্মচারীরা ভূল বুঝে অহেতুক আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন।
Leave a Reply