ছুটির দিনও প্যাচওয়ার্ক পরিদর্শনে সুজন,সড়ক বিধ্বস্ত হওয়ার মূল কারণ স্বমন্বয়হীনতা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের প্যাচওয়ার্কের আওতায় খানা-খন্দক ও ভাঙ্গাচোড়া অংশ দ্রুত মেরামত ও সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

বন্দর নগরীর লাইফ লাইন খ্যাত পোর্ট কানেকটিং রোড থেকে বন্দর পর্যন্ত সড়কগুলোতে গতকাল সাপ্তাহিক বন্ধের দিন থাকা সত্ত্বেও ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফিরে আসা মাত্রই প্রশাসক একাজগুলোর তদারকি করেন।

তিনি এসময় চসিকের প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিয়োজিত লোকবলকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোকে লোক ও যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তোলার জন্য নির্দেশনা দেন। একই সাথে কাজের গুণগতমান রক্ষা ও স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় কারিগরি কৌশল প্রয়োগ করারও আহবান জানান।

তিনি এ সময় উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আজ ছুটির দিন (শুক্রবার) থাকা সত্ত্বেও অফুরন্ত তাগিদ থেকে জনদুর্ভোগ লাঘবে আমি মাঠে নেমেছি এবং এভাবেই আমার দায়িত্ব পালনকালীন সময় পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষণ জনদুর্ভোগ লাঘবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। যখন যে সমস্যাটি এলাকাবাসীর কাছে প্রকট ও দৃশ্যমান হবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে অবগত করা হলে অকুস্থলে গিয়ে আমি সশরীরে উপস্থিত হবো। তাই প্রটোকল মেনে আপনাদের সাথে পাশে থাকার বিষয়টা মূখ্য নয়। মুখ্য হলো যে কোন পরিস্থিতিতে যে কোন সময়ে আপনাদের আহবানে সাড়া দেওয়াটাই আমার প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য।

তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রামের অধিকাংশ সড়কই বিধ্বস্ত রুপ নেয়ার প্রধান কারণ হলো চট্টগ্রাম নগরীতে যেসকল সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সেবা সংস্থা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তাদের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়হীনতার অভাব।

দেখা গেছে ওয়াসা, গ্যাস, সিডিএ, বিটিসিএলসহ অন্যান্য সেবাসংস্থাগুলো তাদের প্রকল্প কখন শুরু করবেন এবং কখন শেষ করবেন সে ব্যাপারে কোন সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নেই। এও দেখা গেছে যে, নির্ধারিত স্থানে একটি প্রকল্পের কাজ চলাকালীন একই স্থানে আরেকটি পৃথক প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেয়া হয়েছে। তাদের এই অপরিকল্পিত কর্মপন্থা কখনো সিটি কর্পোরেশনের বোধগম্য হয়ে উঠেনি। আমরা একটি সড়কের সংস্কার বা মেরামতি কাজ শেষ করার পর পরই ওয়াসাসহ অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলো রাস্তা খোঁড়াখুড়ি শুরু করে। এই কারণে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি জনদুর্ভোগও সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য দোষারোপ করা হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনকে। যেহেতু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি নির্বাচিত কর্মপরিষদের দ্বারা পরিচালিত, সেহেতু জবাবদিহিতার বিষয়টিও তাদের উপর বর্তায়। তাই আমি চেষ্টা করছি নগরে সেবাদান প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সমন্বয়সাধনে কাজ করতে, যাতে নগরীর ভোগান্তি কমে।

পরিদর্শনকালে প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *