ঠাকুরগাঁওয়ে ছেলের শাস্তি চাইলেন মা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের উপজেলা রাণীশংকৈলে অসুস্থ নানার জন্য বাজার থেকে সুস্বাদু খাবার কিনে আনতে বলায় নিজের মাকে পেটালেন দুই ছেলে ও ছেলের বউ। এমনকি বয়স্ক নানাকে লাঞ্ছিত করে তার শয়ন ঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

২৮ আগষ্ট (শুক্রবার) বিকেলে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার ডায়াবেটিস মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। মা ও ছেলে দু’জনেই বাণিয়া দিঘী নামক এলাকায় নানার বাড়িতে বসবাস করেন।

কেন এভাবে প্রকাশ্যে মাকে মারা হলো জানতে চাওয়ায় মামা মমিরুল ইসলামকেও পিটিয়ে গুরতর জখম করে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেই তারা। পরে আহত অবস্থায় মা ও মামাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন স্থানীয়রা।

থানায় দেওয়া এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বানিয়া দিঘী নামক এলাকায় নানাসহ মা মাজেদা বেগম (৪৫) ও  দুই ছেলে মাজেদুল ইসলাম (৩৫), রশিদুল ইসলাম (৩২) এবং ছোট ছেলের বউ আদুরী (২৬) মিলে বসবাস করে। তাদের মধ্যে আগে থেকেই ঝগড়া ছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে তার মায়ের সাথে নানাকে কেন্দ্র করে দুই ছেলে ও ছেলের বউয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা তার মা ও নানাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

এর প্রতিবাদ করায় মায়ের সামনেই নানার শয়ন ঘর ভেঙে দিয়ে বৃদ্ধ নানাকে লাঞ্ছিত করে। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বিকেলে মা মাজেদা বেগম থানায় ও জনপ্রতিনিধির কাছে বিচার চাইতে যায়। এতে করে বাড়ির পাশের বাজার ডায়াবেটিস মোড়ে তার মাকে অতর্কিতভাবে বেধড়ক মারপিট করে রাস্তায় ফেলে দেয়।

মামা মমিরুল ইসলাম বোনের এমন অবস্থা দেখে ভাগ্নেদের কাছে এর কারণ জানতে চাইলে মামাকেও পিটিয়ে পকেটে থাকা ১৭,৫০০ টাকা ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় ওই দিনই দুই ছেলে ও বউমাকে বিবাদী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নির্যাতিত মা মাজেদা বেগম।

মাজেদা বেগম বলেন, নিজের গর্ভের ছেলেরা যখন এভাবে মারে-সেখানে বেঁচে থেকে কি লাভ। তারা যখন ছোট তখনই তার বাবা আমাদের ছেড়ে অন্যত্রে সংসার পাতেন। আমি ও আমার বাবা-ভাই মিলে তাদের মানুষ করি। তিনি তার ছেলেদের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

ঘটনার সত্যেতা নিশ্চিত করেন রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ ইকবাল।

২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *