চুরির উদ্দেশ্যেই ঘরে ঢুকেছিল দুর্বৃত্তরা, বাধা দেওয়ায় হামলা

দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ঘরে চুরির উদ্দেশ্যেই ঢুকেছিল দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওয়াহিদা বাধা দেওয়ায় তার ওপর হামলা চালানো হয়।

আজ শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুরে র‌্যাব কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় র‌্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনওকে হত্যাচেষ্টা মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম, সান্টু ও নবীরুল। এ ঘটনায় জড়িত বলে এরই মধ্যে তারা দায় স্বীকার করেছে।

জিজ্ঞাসবাদে তারা জানিয়েছে চুরির জন্য ভেন্টিলেটর দিয়ে ঘরে ঢোকেন। তবে ওয়াহিদা জেগে গিয়ে চুরিতে বাধা দেওয়ায় তার ওপর হামলা চালায়।

তবে র‌্যাব বলছে, এ বিষয়ে আরো তদন্ত করার পরই মূল ঘটনা জানা যাবে। আসাদুল ও নবীরুল দুজনই রঙ মিস্ত্রি।

এদিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার দিনভর অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এরা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) জাহাঙ্গীর আলম (৪২), উপজেলা যুবলীগের সদস্য (বহিষ্কৃত) আসাদুল ইসলাম (৩৫), শিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা আদুর ছেলে মাসুদ রানা (৪০), নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশ (৩৮), চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকার মৃত ফারাজ উদ্দিনের ছেলে রং মিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার খোকার ছেলে সান্টু চন্দ্র দাস(২৮)।

বুধবার দুষ্কৃতকারীরা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম এবং তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীর ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে গুরুতর আহত করে। এই পৈশাচিক ও কাপুরুষোচিত হামলায় ওয়াহিদা খানম এবং তাঁর পিতা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গুরুতর আহত অবস্থায় ওই রাতেই প্রথমে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরদিন সকালে রংপুর কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার বাবা-মেয়েকে ঢাকায় আনা হয়। ভর্তি করা হয় রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে হাসপাতালে।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *