নুর মোহাম্মদ রানা : চট্টগ্রামের আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে ওয়ার্কশপ গড়ে উঠেছে। যত্রতত্র ওয়ার্কশপে লোহা ও স্টিলের সামগ্রী তৈরির ফলে ভয়াবহ শব্দদূষণ বেড়েছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী যেখানে ইচ্ছে সেখানেই গড়ে তুলছেন ওয়ার্কশপ। ফলে শব্দদূষণে ঘুম হারাম অনেক আবাসিক এলাকার শব্দদূষণ ও ওয়ার্কশপ স্থাপনের নীতিমালা থাকলেও বাস্তবে প্রয়োগ নেই কোনোটির।
শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুযায়ী, আবাসিক এলাকায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ শব্দসীমা হলো ৫৫ ডেসিবেল এবং রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৫ ডেসিবেল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৬০ ডেসিবেল শব্দে মানুষের সাময়িক শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে। ১০০ ডেসিবেল শব্দে চিরতরে শ্রবণশক্তি হারাতে পারে। ওয়ার্কশপে শব্দদূষণের মাত্রা ১১০ ডেসিবেলেরও বেশি।
ট্রেড লাইসেন্স না থাকলেও এসব দোকান মালিককে কখনও জরিমানা কিংবা অভিযানের মুখে পড়তে হয়নি। এ কারণে গ্যারেজ মালিকরা সিটি কর্পোরেশনের নীয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র ওয়ার্কশপ স্থাপন করছে। এছাড়া অন্যান্য দোকান থেকে ভাড়া ও জামানত বেশি হওয়ায় জায়গার মালিকরা ওয়ার্কশপ ভাড়া দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী, ২৪ঘণ্টা.নিউজকে বলেন, পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া যারা অবৈধ ভাবে আবসিক এলাকায় ব্যবসা করছেন তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, বাণিজ্যিক এলাকায় হলে তাদেরকে পরিবেশের ছাড়পত্র নিয়ে ব্যবস্যা করতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম জানান, সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্সবিহীন তারা কিভাবে ব্যবসা করছেন সেটা দেখেই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।
২৪ঘণ্টা/এন এম রানা
Leave a Reply