সরকারের নীল নকশায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নিন্ম আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করছে:দীপ্তি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেছেন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পিতা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তমকে ১৯৮১ সালের ৩০ মে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সামরিক অভ্যুত্থানে হত্যা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল হায়েনার দল। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশ ও জাতির দু:সময়ে বিএনপি তথা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের হাল ধরেছিলেন এবং তার বলিষ্ট নেতৃত্বে ১৯৮৭ সালে এরশাদ হঠাও এক দফা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে সাধারণ মানুষের মণিকোঠায় স্থান করে নেন। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো কোন নির্বাচনে পরাজিত হননি। তার আপোষহীন নেতৃত্বই গণতন্ত্রের মূর্ত প্রতীক। জিয়া পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের সম্পূর্ণ বানোয়াট মামলায় ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ১/১১ সরকার অন্যায়ভাবে বেগম জিয়াকে গ্রেফতার করে একটানা ৩৭২ দিন কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দি করে রাখে। ষড়যন্ত্র আজও চলমান, সরকারের নীল নকশায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নিন্ম আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করছে।

তিনি আজ শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ১৩তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে নগরীর আমানত শাহ মসজিদে বাদে আছর দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, ১/১১ সেনা সমর্থিত সরকারের মাইনাস টু ফর্মূলায় জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার নীল নকশা তৈরী করে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপির দলীয় প্রধান থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি নেতাকর্মী এমনকি সমর্থক পর্যন্ত আজ রাষ্ট্রীয় রোষানলের শিকার। গুম, খুন, মামলা-হামলায় জর্জরিত দেশপ্রেমিক প্রতিটি জিয়ার সৈনিক। বৈশ্বিক মহামারি করোনাতেও শাসক গোষ্ঠী দলীয় স্বার্থে আইন আদালতকে ব্যবহার করছে। শুধু ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও গায়েবী মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিন্ম আদালত সরকারের নীল নকশায় জেল হাজতে প্রেরণ করছে। তিনি এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে মুনাজাত পরিচালনা করেন আমানত শাহ মসজিদের মোতোয়াল্লী শাহজাদা আহাসান উল্লাহ। মুনাজাতে শহীদ জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি এস এম শাহ আলম রব, এম এ রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম,ফজলুল হক সুমন, আব্দুল গফুর বাবুল, সাহাব উদ্দিন হাসান বাবু, হাসান মুরাদ, জসিমুল ইসলাম কিশোর, সি. যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক রাসেদুর হাসান লেবু, শাহীন পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশাহ, ওমর ফারুক, সহসাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা, আসাদুর রহমান টিপু, জাহাঙ্গির আলম বাঁচা, ওসমান গণি সিকদার, সাইফুদ্দিন মো. মারুফ, জাফর আহমেদ খোকন, রাসেল নিজাম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, আলাউদ্দিন, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, ওমর ইমতিয়াজ টিটু, সহ:সম্পাদক আতিকুর রহমান, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, মাহবুবুর রহমান, সাহেদুল ইসলাম, মো. জহিরুল ইসলাম জহির, জিয়াউল হক মিন্টু, গিয়াস উদ্দিন টুনু, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, জাহাঙ্গীল আলম বাবু, জাহাঙ্গির আলম মানিক, সালাহ উদ্দিন, মো. ইদ্রিস, আনোয়ার হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, সুলতান আহমেদ খান সুমন, জসিম উদ্দিন, সদস্য লতিফুল বারী সুমন, কলিম উল্ল্যাহ, সোহাগ খান, আবদুল্লাহ আল মামুন, সাব্বির ইসলাম ফারুক, আবদুস সাত্তার, আবদুল করিম, থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মনজুর আলম মনজু, শওকত খান রাজু, সাহেদ পারভেজ খান, ১০ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন, ৩ নং ওয়ার্ডের আহবায়ক মো. হাসান, ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের মো. ইউনুস প্রমুখ।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

 

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *