চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম নগরীর আমূল পরিবর্তন ও উন্নয়নের লক্ষে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী সবসময় উদার। একটি শহরে সভ্যতার বিকাশ ঘটাতে বিদ্যুতায়ন অপরিহার্য। শহরের সড়কবাতির আলোকায়ন সিটি কর্পোরেশন দেখভাল করে। তাই এ বিভাগ যদি সচল না থাকে তা হলে সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
আজ সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিক বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে সমন্বয় সভায় প্রশাসক একথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, আপনারা হলেন আমার বা শহরের চোখ। আপনাদের মাধ্যমে আমি এ শহরের চিত্র দেখতে পাই। তাই আপনারা সচেতন ও সজাগ হোন। আমাদের দায়িত্ব জনগণের সেবা করা, জনগণই যার যার কাজের যোগ্যতা বিচার করবে। যার যোগ্যতা আছে আমি তার যোগ্যতার মর্যাদা দিব। কর্মস্থলে অযোগ্য কাউকে স্থান দিবনা।কাজের মাধ্যমে যোগ্যতার প্রমাণ দেন আমি সে যোগ্যতার আসনে যোগ্য ব্যক্তিকে আসীন করব। শত প্রতিকূলতায়ও আপনারা রাস্তায় থাকুন। যেহেতু এই বিভাগে আপনারা দীর্ঘদিন কাজ করছেন সেহেতু অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান। কাজের ক্ষেত্রে আপনারা একে অন্যের সহযোগী হোন। ভুলগুলো সংশোধন করে নতুন ভাবে এগিয়ে যান। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কেনার সময় তা গুনগত মান যাচাই করে ক্রয় করার নির্দেশনা দেন প্রশাসক।
এসময় চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, প্রকৌশলী আনোয়ারুল হক চৌধুরী,সালমা খাতুন, রেজাউল বারী, কামরুল ইসলাম সেলিম, বাতি পরিদর্শক জাহিদুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করতে মাইকিং প্রচারনায় চসিক প্রশাসক
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, আমার কাজ কথা বলবে। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে নগরবাসীর অধিকার আদায়ে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি। এজন্য দরকার নগরবাসীর সহযোগিতা ও সদিচ্ছা।
আজ অপরাহ্নে মাঝিরঘাটস্থ স্ট্যান্ড রোড হয়ে কদমতলী ফ্লাইওভার থেকে দেওয়ানহাট মোড় পর্যন্ত মাইকিং করে ফুটপাত ও রাস্তা পরিদর্শনকালে প্রশাসক এসব কথা বলেন।
এসময় প্রশাসক কদমতলী ও দেওয়ানহাট ফ্লাইওভারের নিচে এবং ফুটপাত অবৈধ দখল করে ব্যবসা অবকাঠামো নিজ জিম্মায় সরিয়ে নেয়ার জন্য সকলকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অন্যথায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় কঠোর অবস্থানে যাবে চসিক।
এসময় উপস্থিত জনসাধারণ প্রশাসকের কাছে তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানালে প্রশাসক ফুটপাত অবমুক্ত করে ব্যবসা পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা দিবে বলে জানান।
প্রশাসক পরিদর্শনকালে ষ্টেশন রোড, নিউমার্কেট মোড়ে চসিকের গণশৌচাগার থেকে অবৈধভাবে পানি বিক্রির সময় হাতে নাতে ধরে পাইপ জব্দ করে নেন এবং সাথে সাথে পানি বিক্রী বন্ধের নির্দেশনা দেন।
![](https://www.24ghonta.news/wp-content/uploads/2020/09/পানি১৪-৯১-300x171.jpg)
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কাছে তথ্য রয়েছে কিছু অসৎ ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চসিকের পানি বিক্রীর রমরমা ব্যবসা করছে। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তাই আজ থেকে এই পানি বিক্রী বন্ধ। এজন্য আমার পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হবে একই সাথে গণশৌচাগারের ইজারা বাতিল করা হবে। যদি এমন কাজে জড়িত কাউকে পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের হারানো গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমার মেয়াদকালীন সময়ে চট্টগ্রাম শহর উন্নয়নে একটি গাইড লাইন দাঁড় করিয়ে যাব। যাতে পরবর্তীরা তা অনুসরণ করে কাজে লাগাতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রয়াত সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম উন্নয়নে একগুচ্ছ পরিকল্পনা রেখে গেছেন। এযাবতকাল যদি অন্তত তাঁর দিক নির্দেশনা অনুসরণ করা যেত তাহলে এই শহরের এমন রূপ চোখে পড়তো না। তাঁর সময়ে চট্টগ্রাম ছিল তকতকে -ঝকঝকে ও পরিবেশ বান্ধব। অথচ অযত্নে ও অবহেলায় চট্টগ্রাম তার সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। এভাবে আর চলেতে দেয়া যাবে না।
এসময় প্রশাসকে একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার দাশ সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
২৪ ঘণ্টা/এম আর