সীতাকুণ্ডে প্রতারক ভূমিদস্যু খলিলের জামিন না মঞ্জুর,জেল হাজতে প্রেরণ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আইসিটি আইনে দায়ের করা দুটি মামলায় গ্রেপ্তার প্রতারক ও ভুমিদস্যু ইব্রাহিম খলিলের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কৌশিক আহমেদ খন্দকার তাকে জেল হাজতে পাঠান।
জানা যায়, গত ৭মে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের নতুন ভবনের কাজ পরিদর্শনে এসে ক্লাবভবনের পাশে গাইডওয়াল নির্মাণের জন্য সাত লাখ টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন। প্রতারক, ভূমিদস্যু ইব্রাহিম খলিল উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের পরিদর্শনের ছবি সংযুক্ত করে ‘উপজেলা চেয়ারম্যানের ভূমিদস্যুরা পেল গাইড ওয়াল’ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন । এ ঘটনায় প্রেসক্লাব কল্যাণ ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান এম.হেদায়েত বাদি হয়ে ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করেন।
এরপর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সমকাল প্রতিনিধি এম. সেকান্দর হোসাইনকে নিয়ে অত্যন্ত আপত্তিকর ষ্ট্যাটাস দেয় খলিল। এতে তিনিও একটি আইসিটি মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর খলিলকে গ্রেপ্তার করে ফৌজদারহাট ফাঁড়ি পুলিশ। বুধবার খলিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।
মামলার বাদী এম. হেদায়েত ও সেকান্দর হোসাইন জানান, খলিল নিজে একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু। সীতাকুণ্ড পৌরসদরে সরকারী খাল দখল করে বেশ কয়েকটি দোকান নির্মাণ করেছে সে। এছাড়া এলাকার অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। তার অপকর্মেও বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা সোচ্চার হওয়ায় সে প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এমনকি উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছিলো।
খলিলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি মামলার তদন্তকারী অফিসার এস.আই মোঃ হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি তাকে রিমান্ডে আনার জন্য আবেদন করব। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তার অপকর্ম বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *