জোর করে বাল্য বিয়ে: অবশেষে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

নীলফামারী প্রতিনিধি : জোর করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাল্য বিয়ে দেওয়ায় গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে পিংকি আক্তার(১৪) নামে স্কুল ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার(১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর কিশোগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের বসুনিয়া পাড়া গ্রামের মেয়েটির নানার বাড়িতে।

বিকেলে পুলিশ পিংকির লাশ ময়না তদন্তের জন্য উদ্ধার করে জেলার মর্গে প্রেরন করে। নিহত পিংকি একই ইউনিয়নের বোর্ড অফিসপাড়া গ্রামের কৃষক রাজু মিয়ার মেয়ে ও চাঁদখানা দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী।

পারিবারিক ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ৩২ দিন আগে পিংকির সঙ্গে বিয়ে হয় নীলফামারী সদরের চাপড়া সরনজামী ইউনিয়নের লতিফ চাপড়া গ্রামের সাঈদুল ইসলামের ছেলে লাজু মিয়ার(২৫) সাথে। লাজু মিয়া উত্তরা ইউপিজেডের একটি কারখানার শ্রমিক। বাল্য বিয়েতে মত ছিলনা পিংকির। বিয়ে হলেও পিংকিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়া দেয়া হয়নি। তাই সে বাবার বাড়ি ছেড়ে নানা শাহাদৎ হোসেনের বাড়িতে থাকতো।

গত বুধবার(১৬ সেপ্টেম্বর) তার স্বামী শ্বশুড়বাড়ি গেলে তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় পিংকির অবস্থানের নানার বাড়িতে। সেখানে তার স্বামী রাতে অবস্থান করে। এ অবস্থায় সবার অগোচরে সে ঘরের ভেতর গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে বলে পরিবারের দাবি। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ পিংকির অনিচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বাল্যবিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, বাল্য বিয়ের কারনে পিংকির আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে ও লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *