২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী বড় মাদরাসার দীর্ঘদিনের মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মরদেহ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় পৌঁছেছে।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদাবাদ মাদরাসা থেকে লাশবাহী গাড়ী রওয়ানা দিয়ে সকাল ৯ টায় মাদরাসায় পৌঁছে।মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আল্লামা আহমদ শফীকে শেষবারের মতো দেখানোর ব্যবস্থা করেছে। মাদরাসার দারুল হাদিস ভবনের নিচতলায় রাখা হয়েছে আল্লামা শফীর মরদেহ।
সেখানে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে, শেষবারের মতো বিদায় জানাতে ভিড় করছেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। জোহরের নামাজের পর হাটাহাজারী মাদরাসা মাঠে আল্লামা শফীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে আল্লামা শফীর অসিয়ত অনুযায়ী মাদরাসা সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হবে। ইতোমধ্যে কবর খননের কাজও শেষ হয়েছে। আল্লামা শফীর নামাজে জানাজার ইমামতি করবেন বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ।
এদিকে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নামাজে জানাজায় অংশ নিতে হাটহাজারীতে জনতার ঢল নেমেছে। রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার পরও পায়ে হেটে দুর দুরান্ত থেকে মানুষ হাটহাজারী বড় মাদ্রাসায় যাচ্ছেন। গতকাল রাত থেকেই মাদরাসায় আসতে শুরু করেছে আলেম-উলামা, ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ জনতা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ চট্টগ্রাম অভিমুখী রাস্তায় দেখা যায় জানাজাগামী গাড়ির স্রোত।
জানা যায়, আজ শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি দীর্ঘদিন এই মাদ্রাসার মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। জানাজায় অংশ নিতে শোকার্ত মানুষের ভিড়।
কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে মাদরাসার ক্যাম্পাস, মাঠ, রাস্তা ও আশপাশের এলাকা। শুধু সাদা টুপি-পাঞ্জাবি পরিহিত মানুষ আর মানুষ। এখনই সামাল দেওয়া কষ্ট হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভিড় আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী মাদরাসায় উপস্থিত মোশাহিদ রহমান।
হাটাহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমীন জানান, আহমদ শফীর মৃতদেহ সকাল ৯টার দিকে হাটহাজারীতে পৌঁছেছে এবং দুপুরে জানাজা শেষে সেখানে দাফনের সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
হাটহাজারী বাসস্টেশন থেকে মাদরাসামুখি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী গেণ্ডারিয়াস্থ আসগার আলী হাসপাতালে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন।
তার ইন্তেকালের খবরে আলেম সমাজের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি হেফজাতে ইসলামের আমির ছাড়াও কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাক ও কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ছিলেন।
২৪ ঘণ্টা/রাজীব
Leave a Reply