যশোরে সবজির বাজারে আগুন

নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি : যশোরে সবজির বাজারে যেন আগুন লেগেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ বাজারে যেতে এক রকম ভয় পাচ্ছেন। দু’ একশ’ টাকা নিয়ে বাজারে যাওয়া যেন বোকামি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রেতাদের বক্তব্য, বাজারে গিয়ে তারা তাদের প্রয়োজনীয় সবজি কিনতে পারছে না। চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ার কারণে সবজির দাম বেশি বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছে। অতি বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়েছে আশঙ্কাজনক ভাবে। যে কারণে চাহিদামতো সবজি আসতে পারছে না বাজারে। তবে অনেক ক্রেতার দাবি, দাম বৃদ্ধি যেন নিত্যদিনের ঘটনা। কোনো জিনিসেরই দর নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

তাদের বক্তব্য, প্রশাসনের তদারকি না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি কেজি সবজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। যা নিয়ে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে।

মঙ্গলবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে একশ’ ৮০ থেকে দুশত’ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে একশত’ ৬০ থেকে একশত’ ৭৫ টাকায়। শিম প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে একশত’৫০ থেকে একশত’৬০ টাকা পর্যন্ত। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় একশত’ ৩০ থেকে একশ’ ৪০ টাকা দরে। বেগুন বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। উচ্ছে প্রতি কেজি ৯০ থকে একশত’ ১০ টাকায় বিক্রি হলেও সাতদিন আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি ঝিঙে ও কুশি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচকলা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। ফুল কপি বিক্রি হয়েছে একশত’ টাকা প্রতি কেজি। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। শসা ৬০, টমেটো ৮০ ও কচুরলতি ৬০ কেজিতে বিক্রি হয়েছে। লাউ প্রতি পিছ ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৯ থেকে ৪০ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকার মধ্যে। পিঁয়াজের দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি হালি ডিমে দু’টাকা বৃদ্ধি পেয়ে সাদা ৩২ ও লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

ক্রেতারা বলছেন, প্রতিদিনই বাড়ছে সবজির দাম। সকাল-বিকেল সবজির দাম পরিবর্তন হচ্ছে।আড়তদাররা বলেন, চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় বাজারে সবজির দাম বেশি।

সজীব মহলদার নামে একজন কলেজ শিক্ষক বলেছেন, সবজির দর এভাবে চলতে থাকলে তাদের মতো দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ কীভাবে চলবেন। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বড় বাজারের সালেহা ভান্ডারের ম্যানেজার আলী আক্তার বলেন, এক শ্রেণির মজুতদারের আলুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছেবড় বাজারের আব্দুল লতিফ নামে এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, বৃষ্টির কারণে সব সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

২৪ ঘণ্টা/রিহাম

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *