বরিশাল ব্যুরোঃ বরিশালের উজিরপুরে নারী নির্যতন মামলার আসামী ধরতে যাওয়া পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে বেধরক মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা। হামলার স্বীকার আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হচ্ছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উজিরপুর থানার উপ পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ও সহকারী পরিদর্শক নুরুল আমিন।
উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের কাকড়াধারী এলাকায় বৃহস্পতিবার (৮ অক্টেবর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ হামলার সাথে জড়িত রুবেল নামক একজনকে গ্রেফতার করেছে।
জানাগেছে, উপজেলার কাকড়াধারী গ্রামের হাবিব রাড়ীর পুত্র রবিউল ও সবুজের নামে উজিরপুর মডেল থানায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন এক কলেজ ছাত্রী মামলাটি দায়ের করা হলে ওই মামলাটির আসামীরাসহ স্থানীয় লোকজন কাকড়াধারী গ্রামের সাইকুল রাড়ীর বাড়িতে সালিশ বৈাঠক আয়োজন করেন নরী নির্যাতন মামলার বাদী কলেজ ছাত্রী সুবর্নাকে ওই বৈঠকে জোড় করে হাজির করা হয়। মামলার বাদীর ফোন পেয়ে উজিরপুর থানার এস আই নিজামউদ্দিন ও এ এস আই নুরুল আমিন উপস্তিত হয়ে মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী রবিউল ও সবুজকে গ্রেফতার করলে আসমী সবুজের আত্মীয়-স্বজনরা একত্রিত হয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার উপর হামলা চালিয়ে আসামী ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পুলিশের উপর হামলার খবর পেয়ে বরিশাল পুলিশ সুপার ও উজিরপুর সার্কেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ঘটানয় উজিরপুর থানার উপ পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে শুক্রবার উজিরপুর মডেল থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২০/২৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন বলে উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান নিশ্চিত করেছেন।
হামলার স্বীকার এ এস আই নুরুল আমিন জানিয়েছেন, তারা একটি নারী নির্যতন মামলার এজাহার ভুক্ত আসামীদের ধরার জন্য কাকড়াধারী গ্রামে উপস্তিত হলে মামলার আসামী সবুজ ও রবিউলের মামা বিমানবন্দর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন আসামী সবুজের ভায়রা সোহেলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী নিয়ে অর্তকিত ভাবে তাদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের মারধর করে গায়ের পোশাক ছিড়ে ফেলে পুলিশের উপর হামলার খবর পেয়ে গুঠিয়া ক্যাম্পের পুলিশ উপস্তিত হলে আসামীরা পালিয়ে যায়।
২৪ ঘণ্টা/রিহাম/আবু সাঈদ
Leave a Reply