প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮তম নন-অ্যালাইনড মুভমেন্ট (ন্যাম) সম্মেলনে যোগ দিতে আজারবাইজানে চার দিনের সরকারি সফর শেষে রোববার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমান বন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট আজ স্থানীয় সময় ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট আজ স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১০ মিনিটে বাকু হায়দার আলিয়েভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

আজারবাইজানের শিক্ষামন্ত্রী জাইহুন আজিজ ওগলু বেরামভ এবং আজারবাইজানের দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দিকী বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

১২০টি উন্নয়নশীল দেশের জোট নিরপেক্ষ ফোরাম ন্যামের দুই দিনের সম্মেলনটি ২৬ অক্টোবর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর কংগ্রেস সেন্টারে সমাপ্ত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে ন্যাম সম্মেলনে যোগ দেন।

শুক্রবার বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকু কংগ্রেস সেন্টারে ১৮তম ন্যাম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া তিনি বাকু কংগ্রেস সেন্টারে সমসাময়িক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমন্বিত ও পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিশ্চিতে ‘বান্দুং নীতিমালা’ সমুন্নত রাখার বিষয়ে এক সাধারণ আলোচনায় বক্তৃতা করেন।

বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছি। এ কারণে আমাদের দেশ এবং এর বাইরেও অস্থিতিশীলতা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা কামনা করছি। মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে তাদের নিজভূমিতে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়াই সংকটের একমাত্র সমাধান।’

শনিবার অন্যান্য ন্যাম নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকু কংগ্রেস সেন্টারের প্ল্যানারী হলে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন, প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সঙ্গে ওয়ার্কিং লাঞ্চন ও সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
পরে সন্ধ্যায় তিনি হায়দার আলিয়েভ সেন্টারে আজারবাইজানের প্রেসিডিন্ট ইলহাম আলিয়েভের দেয়া সরকারি সংবর্ধনায় যোগ দেন।

এছাড়া তিনি হিলটন বাকুতে একই সঙ্গে আজারবাইজানের দূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেয়া নৈজভোজে অংশ নেন।

ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, আলজেরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট আবদেল কাদের বেনসালাহ ও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী রিয়াদ আল মালকিসহ বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সাথে বৈঠক করেন।

গতকাল দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে সাংস্কৃতিক বিনিময়ে বাংলাদেশ ও আজারবাইজানের মধ্যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়।

পরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বাকুতে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থল হোটেল হিলটন বাকুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *