২৪ ঘণ্টা নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গতকাল ১৪ অক্টোবর থেকে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রে ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। নির্দেশনা অনুযায়ী দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় এবং মজুতও নিষিদ্ধ।
সেই আলোকে ইলিশের বিক্রয়, বিপনন তদারকিতে আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৫টা থেকে নগরীর ফিশারিঘাট, রেয়াজউদ্দিন বাজার ও মোমিনরোডসহ বিভিন্ন বাজারে নামে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসানের নের্তৃত্বে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে প্রথমে নগরীর ফিশারীঘাটে অভিযান চালায়। সেখানে কোন ধরনের ইলিশের অস্তিত্ব মেলেনি।
এরপর নগরীর মোমিন রোডে অস্থায়ী খুচরা বাজারে মো. সোহেল নামের একজন খুচরা মাছ ব্যবসায়ীকে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়। তার কাছ থেকে ২০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ম্যাজিস্ট্রেট।
পরে নগরীর ব্যস্ততম ও বৃহৎ রেয়াজ উদ্দিন বাজারে অভিযান চালানো হয়। সেখানেও ইলিশ পাওয়া যায়নি। তবে আবুল কাশেম(৩৫) নামের মাছ ব্যবসায়ীকে জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাছ বিক্রি করায় তার কাছ থেকে ৪০ কেজি জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাছ জব্দ করা করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়৷
তথ্যটি নিশ্চিত করে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান অব্যাহত থাকবে বললেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান। বলেন, জব্দকৃত মাছ এতিমখানায় বন্টন করার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলীসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন।
২৪ ঘণ্টা/রাজীব
Leave a Reply