ঝালকাঠিতে শারদীয় দুর্গা পূজার রঙ-তুলির ছোঁয়ায় চলছে শেষ প্রস্তুতি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠি জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার রঙ-তুলির ছোঁয়ায় চলছে শেষ প্রস্তুতি।

আগামী ২১ অক্টোবর ৫দিনব্যপি এই উৎসব শুরু হবে। জেলার পূজা মন্ডবগুলিতে প্রতিমা তৈরীর কাজ নিয়ে ব্যস্ত চারুকলার প্রতিমা শিল্পীরা। তারা বিভিন্ন এলাকায় প্রতিমা তৈরির বায়না করে তাদের সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে ছুটে চলেছে।

জেলার ৪টি উপজেলায় এ বছর তিনটি পূজামন্ডব কমে ১৭০টি পূজামন্ডবে শারদীয় পূজা হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে আড়ম্বর কমিয়ে উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে।

পূজা উদযাপন কামিটির নেতারা আশা করছে অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এ উৎসব পালন করা হবে। সরকার ইতিমধ্যেই প্রতিটি মন্ডবের জন্য ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে।

ঝালকাঠি সদর উপজেলায় দুটি পূজা মন্ডব কমে এবছর ৭২টি মন্ডবে পূজার আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। অনুরুপভাবে কাঁঠালিয়া উপজেলায় ৫৭টি, নলছিটি উপজেলায় ২১টি ও রাজাপুর উপজেলায় ২০টি পূজামন্ডবে পূজার আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।

আর মাত্র ৩/৪ দিন পরেই ঢাকে কাঠি পড়বে। শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। ঝালকাঠিজুড়ে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। দিন-রাত এক করে এখন রঙ আর তুলির আঁচড়ে শেষ রূপায়নের কাজ করছেন প্রতিমাশিল্পিরা। আগামী ২১ শে অক্টোবর বোধনের মধ্য দিয়ে দশভূজা দেবী দর্শন দেবেন তার ভক্তদের।

সরেজমিনে ঘুরে দেখাযায়, ঝালকাঠির প্রতিটি মন্ডপেই এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে। দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে প্রতিমা ও প্রত্যেকটির বিভিন্ন অনুষঙ্গ তৈরি, নিখুঁতভাবে কাজ ফুটিয়ে তোলা এবং রঙয়ের কাজে ব্যস্ত সময় কাটছেন প্রতিমাশিল্পিদের। যেনো ঘুম নেই তাদের চোখে। প্রাপ্তি যোগের আশায় মনের আনন্দে চলছে পার্বণের জোর প্রস্তুতি।

প্রতিমা নির্মাতা সজল পাল বলেন, ভাদ্র মাসের পনেরো তারিখ থেকে তারা প্রতিমা তৈরি শুরু করছেন, কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু প্রতিমাগুলোতে চূড়ান্ত রঙ লাগিয়ে পোশাক পরিচ্ছদে সুসজ্জিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ হাবিবুল্লাহ রহমান জানান, শারদীয় দুর্গা পূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য এবার বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূজা শুরুর প্রথম দিন থেকে প্রতিমা বিসর্জনের দিন পর্যন্ত পুলিশ সর্তক অবস্থায় থাকবে। তিনি আরো জানান, করোনার কারনে লোকজনের সমাগম ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টা/রিহাম/আতাউর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *