চাঁদাবাজির অভিযোগে কর্ণফুলীর ডা. ইকবালসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আদালত প্রতিবেদক : প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ১ (এক) লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যার ডা. ইকবালসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করেছেন এক কেয়ারটেকার।

কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের মৃত দিল মোহাম্মদ ছেলে কেয়ারটেকার মো. ওয়াসিম (৩০) গত সোমবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ (আমলী) এ মামলা করেন।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে আইনজীবি জুবায়রুল হক জানান, ‘কেয়ারটেকার মো. ওয়াসিম বাদি হয়ে ৩৮৫ ধারায় যে মামলাটি করেছেন সেটি আদালত আমলে নিয়ে স্থানীয় পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।’

মামলায় ৩ (তিন) আসামিরা হলেন-চরলক্ষ্যা গ্রামের (১নং ওয়ার্ড) মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে ইকবাল খোরশেদ প্রকাশ ডা. ইকবাল (৪০), মৃত গোলাম কাদেরের ছেলে আনু মিয়া (৪২), চান মিয়ার ছেলে জিকু (২৫) সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন।

মামলার অভিযোগে বাদী মো. ওয়াসিম আদালতে জানান, দীর্ঘদিন তিনি উপজেলার চরলক্ষ্যা মৌজার একটি জায়গায় মাহবুব আলমের কেয়ারটেকার হিসেবে চাকরী করেন। ঘটনার ২০ দিন পুর্বে উপরে উল্লেখিত তিনজন আসামী ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫জন কেয়ারটেকারের কর্মস্থলে এসে তার কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। তিনি কেয়ারটেকার হিসেবে চাকুরী করেন বলে জানালে আসামিরা জায়গার মালিক থেকে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা এনে রাখার কথা জানান। অন্যতায় জায়গাতে নির্মাণ কাজ করতে দেবে না এবং উচ্ছেদসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির কথা শুনিয়ে চলে যায়।

বাদি অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, বিগত ১৭ অক্টোবর আসামীগণ পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে এবং পরস্পর যােগসাজেসে দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘটনাস্থলে এসে পূনরায় ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তখন নাম উল্লেখিত তিন আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন লোক কেয়ারটেকারকে এলােপাতাড়ী মারধর করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে মারতে চেষ্টা করে। পরে কেয়ারটেকার চিৎকার করলে পাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। ততক্ষণে আসামিরা জায়গায় ভাঙচুর চালিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজনের সাথে ঘটনা সম্পর্কে তারা জানান, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা তারা শুনেননি। তবে ডা. ইকবাল চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ১৩৬নং বিট পুলিশিং এর সভাপতি ছিলেন। তখন থেকে থানা পুলিশের সাথে তার একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। সে সুবাধে এলাকায় জায়গা জমির সালিশ করতেন। জমি দখল বেদখলে মানুষকে হয়রানি করতেন। তবে কারো অভিযোগ লিখিত নেই তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. ইকবাল খোরশেদ বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। চাঁদাবাজির মামলা করার ঘটনাটি ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়।’

কর্ণফুলী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আদালত থেকে এধরনের কোন মামলা এখনো থানায় আসেনি, আসলে সঠিক তদন্ত করা হবে।’

২৪ ঘণ্টা/রিহাম

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *