লক্ষ্মীপুরে আবারো টানা বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড ফসলের ক্ষেত

অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : হটাৎ টানা বর্ষণে তৃতীয়বারের মতো লক্ষ্মীপুরে আবারো লন্ডভন্ড হয়েছে ফসলের ক্ষেত। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন সবজি চাষিরা। ভারি বর্ষণের কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানির নিচে ডুবে আছে কৃষকের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।

বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ভারি ও মাঝারি বৃষ্টির কারণে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আবীরনগর, পিয়ারাপুর, ভবানীগঞ্জ, চরমনসা, টুমচর ও কালিরচরে শীতকালীন শাকসবজির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিনে চরমনসা গ্রামের ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে টমেটো, ফুল-কপি, পাতা-কপি,মরিচ, বেগুন, লাল-শাক, মুলার-শাক, মিষ্টি কুমড়ো ও লাউগাছ পানির নিচে ডুবে আছে। কৃষক দ্রুত পাম্প মিশিন দিয়ে ক্ষেত থেকে পানি সরাচ্ছেন।

মরিচ গাছে ফুল ও মরিচ ধরতে শুরু করেছে। বেগুন ও টমেটো গাছে ফুল ফোটছে।

কৃষক সাইফুল হাসান ও আবু ছিদ্দিক ওপরে বাঘা ছিদ্দিক বলেন, ১৫-২০ দিন পর মাঠ থেকে ফসল তুলে বাজারজাতকরণ করা যেতো। হঠাৎ দুইদিনের টানা বৃষ্টির কারণে তাদের সকল স্বপ্ন পানির নিচে চলে গেছে।

কৃষক সাইফুল ইসলাম চলতি বছরে ৪ একর জমিতে শীতকালীন শাকসবজি আবাদ করেছেন প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ করে। বাঘা ছিদ্দিক ১ একর জমিতে চাষাবাদ করেন শীতকালীন শাকসবজির অন্যদিকে ও জলা থেকে মাছ ভেসে গেছে।

ধান চাষীরাও তৃতীয় বারের মতো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বীজতলা না থাকাতে তৃতীয়বারের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আর পারবেন না বলে জানা গেছে অনেক কৃষকের সাথে কথা বলে। তারা জানিয়েছেন যে, দ্বিতীয়বারের ক্ষতি কিছুটা কেটে উঠতে সক্ষম হলেও এবার আর সম্ভব নয়। কারণ আমাদের আর বীজতলা নেই। আবার নতুন করে যে বীজতলা তৈরি করে লাগাবো সে সুযোগ ও সময় কোনটাই নেই। এতে করে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ধান চাষীরা।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে প্রায় ৫ থেকে ৬ ফুট পানির নিচে রয়েছে ধানক্ষেত। ফানি নামানোর কোন ব্যবস্থা নেই।

রাজু আহমেদ নামের এক কৃষক জানিয়েছেন- যদি দ্রুত পানি নামানো যায় তবে এখনো ধান রক্ষা করা সম্ভব। পানি নামার খাল ও ছোট নদীগুলোতে বাধ গড়া দিয়ে মাছের চাষ ও বেহাল জাল দিয়ে পানি নামার বাধা সৃষ্টি করায় পানি নামছে না। এতে করে আর দু-একদিনের মধ্যে পানির নিচে থাকা ধান গাছ পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই নিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি জানান খুব দ্রুতই পানি নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে আর অবৈধভাবে বাধ ও গড়া অপসারণ করা হবে।

২৪ ঘণ্টা/রিহাম

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *