রোমাঞ্চকর জয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের ফাইনালে নাম লেখালো চট্টগ্রাম আবাহনী।
সোমবার শেখ জামাল ক্লাব কাপের সেমিফাইনালে ভারতের ক্লাব শ্রী গোকুলাম কেরালা এফসিকে কাঁপিয়ে দেয় জামাল ভূঁইয়াদের চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে ৩-২ গোলের জয় তুলে নেয়। নিশ্চিত করে ফাইনাল।
২০১৫ সালে প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ২০১৭ সালে দ্বিতীয় আসরে সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী।
চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় ২-২ গোলে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে দু’দল। প্রথম সেমিফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে জিতে ফাইনালে ওঠে চট্টগ্রাম আবাহনী।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় গোকুলাম। দ্বিতীয়ার্ধের ৪৬ মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে চট্টগ্রাম আবাহনী। ১-১ গোলে সমতা থাকা ম্যাচে ৮১ মিনিটে গোল করে আবার এগিয়ে যায় গোকুলাম কেরালা। ঘরের মাঠে হেরে বিদায়ের শঙ্কায় থাকা চট্টলার ক্লাবটি ৮৯ মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে। বাঁচিয়ে রাখে ফাইনালের স্বপ্ন। এরপর ১০৪ মিনিটে করে জয়সূচক গোলটি।
৪৬ ও ৮৯তম মিনিটে গোল করে চট্টগ্রাম আবাহনীর নায়ক আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার চার্লস দিদিয়ের। আরেকটি গোল করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিনেদু ম্যাথিউ। ১০৫তম মিনিটে হেড থেকে গোল করে আবাহনীকে ফাইনালের টিকিট এনে দেন চিনেদু।
প্রতিপক্ষ হিসেবে গোকুলাম কেরালা এফসি শক্তিশালী দল। ভারত-বাংলাদেশের সেই ম্যাচ বিবেচনা করলে ভারতই শক্তিশালী ছিল। মাঠ আবার ছিল ভারতের। তারপরও দুর্দান্ত লড়াই করে বাংলাদেশ। গোকুলামের বিপক্ষে এটাই সাহস জুগিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীর। সঙ্গে মাঠ-দর্শক ছিল নিজেদের। ম্যাচের ১০৪ মিনিটে গোল করে সেই সাহস আর দর্শকদের উৎসাহের প্রতিদান দেয় চট্টগ্রাম।
অথচ এই গোকুলাম ভারতের ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন এবং টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল পর্যন্ত অপরাজিত থেকেই এসেছে তারা। মাত্র দুই বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি চলতি আসরে খেলা আগের তিন ম্যাচে মাত্র ১ গোল হজম করেছিল। সেমিফাইনালে চট্টলার দর্শকদের দম ফাটানো চিৎকারে যেন তাদেরই দম বেরিয়ে গেল। হজম করল তিন গোল।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে কলকাতার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান অ্যাথলেটিকো এবং মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু এফসি। তাদের মধ্যে জয়ী দল বৃহস্পতিবার ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীর মুখোমুখি হবে।
Leave a Reply