নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাকালিন সময়ে বন্ধ থাকা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে লালন পালন করা হচ্ছে গবাদি পশু।
কিন্তু সেই খামারের মালিকা নিয়ে ধোঁয়াশা। যার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে খামার, তিনি জানিয়েছেন এটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। তবে নিরাপত্তা শাখার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন- সিকৃবি ক্যাম্পাসে কর্তৃপক্ষের কোন গবাদি পশু নেই। দ্বিমুখি এমন বক্তব্যে পশুগুলো কার, তা নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি সেখানে ভেড়া বাাঁচাতে বিষ দিয়ে কুকুর নিধন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, কিছুদিন আগে সিকৃবি’র কর্মচারীদের পালিত হাঁস, মুরগি,গরু, ছাগল ক্যাম্পাস থেকে সরাতে বার বার নোটিশ প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে সেগুলো কম দামে বিক্রি করেন কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে দু’চারটি ভেড়া রাখার বিধান থাকলেও ব্যক্তি স্বার্থে সিকৃবি ক্যাম্পাসকে গো-চারণ ভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে গবাদিপশুর অবাধ চলাচল এবং গাছপালা নষ্ট করার দৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। সেই সাথে গবাদিপশু অবাধ চলাচলের কারণে নষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিকৃবির কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারি জানান, সিকৃবির মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান আহমদের তত্ত্বাবধানে এই গবাদিপশু ক্যাম্পাসে বিচরণ করছে। আর এসব গবাদি পশু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন অংকুর দেবনাথ নামক সিকৃবির একজন কর্মচারী।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড. সুলতান আহমদ বলেন, ক্যাম্পাসে তার তত্ত¡াবধানে সিকৃবি কর্তৃপক্ষের গবাদিপশু পালন করা হয়। এসব পশুর মালিক স্বয়ং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখানে তার ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ নেই। কর্তৃপক্ষের শিক্ষা প্রক্রিয়ার প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে ১টি ঘোড়া, ৩টি গরু, ৮টি ভেড়া রয়েছে। এগুলো লালন পালনের জন্য নির্দিষ্ট স্থান ও ঘর নির্মাণ করা আছে। পশুগুলির মালিক সিকৃবি কর্তৃপক্ষ। তিনি শুধু এগুলোর তত্ত¡াবধানের দায়িত্বে আছেন।
এ ব্যাপারে সিকৃবির নিরাপত্তা শাখার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মালেক জানান, সিকৃবি ক্যাম্পাসে কর্তৃপক্ষের কোন গবাদি পশু নেই। আমরা ক্যাম্পাসে গরুবাছুর পেলে তা আটকে রাখি। গরুবাছুর যাতে ক্যাম্পাসে ঢুকে পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমরা মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে থাকি। তাছাড়া কর্তৃপক্ষ কিংবা ব্যক্তিগতভাবে ক্যাম্পাসে গোচারণের কোন বিধান নেই। এটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এব্যাপারে আমি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Leave a Reply