চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,সিপাহী-জনতার বিপ্লব এর মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয়। ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন। রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের বলি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে যখন বন্দি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে তখনই সিপাহী-জনতার বিপ্লব এর মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে জনতার কাতারে নিয়ে আসে।
শহীদ জিয়া নাজুক পরিস্থিতিতে দেশের হাল ধরেন। সেদিন জিয়াউর রহমান দেশের হাল না ধরলে দেশের স্বাধীনতা, স্বার্ভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তো। দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র বলে কিছু থাকতো না। জিয়াউর রহমানের কারণে আজ দেশ উন্নয়নমুখী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। শহীদ জিয়ার নেওয়া বহুমুখী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে দেশ আজও এগিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়েই ক্লান্ত হননি দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে তিনি গণভোটের ব্যবস্থা করেন। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি সারাদেশে ইর্ষনীয় জনপ্রিয় অর্জন করেন।
গণভোটে অংশ নিয়ে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে দেশের শাসনভার গ্রহন করেন এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। সকলের সমান সুযোগ সৃষ্টি করেন। ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে সারাদেশ ঘুরে বেড়িয়ে দেশের মানুষকে উন্নত করেন। দেশকে সমৃদ্ধশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন জিয়াউর রহমান।
তিনি আজ রবিবার ( ৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর ২৭ নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লব সংগঠিত না হলে এদেশে গণতন্ত্র মুক্তি পেতনা। আওয়ামি লীগ এক দলীয় শাসনে বিশ্বাস করে বলেই তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ভয় পায়, বিএনপিকে ভয় পায়। তাই যখনই বিএনপি সংগঠিত হয়, জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লিপ্ত হয়। তাই তারা বিএনপিকে সংগঠিত হতে দেয় না। তাই তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর বিভিন্নভাবে নিপীড়ন-নির্যাতন করে ভয় সৃষ্টি করে। নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবেনা। আওয়ামি লীগের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে চায়। দেশের জনগণ কখনোই পরাধীনতাকে মেনে নেয়নি, কখনো মেনে নেবে না।
২৭নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী ফয়েজ আহমেদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু মিয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি নাজিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এসএম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হালিম শাহ আলম, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, ডবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি মোঃ সেকেন্দার, নগর মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ হোসেন, নগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম স্বপন, ডবলমুরিং থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী বাদশা মিয়া, নগর বিএনপির সদস্য জমির আহমেদ, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহেল, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ হেলাল,ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কামালউদ্দিন, সহ-সভাপতি শহীদ হোসেন, মোঃ ইসকান্দার মির্জা, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী, আব্দুর রব, আব্দুর রহিম, যুগ্ন সম্পাদক হাসান রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল সুমন, নগর যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম মানিক, মোহাম্মদ ওসমান গনি, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ আলমগীর, মোহাম্মদ জাবেদ সহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ ।
২৪ ঘণ্টা/রিহাম
Leave a Reply