চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ঘোষণা যাতে নগরীতে লক্সিখত না হয় সে-জন্য ডাইরেক্ট এ্যাকশানে যেতে চসিক প্রস্তুত।
তিনি আরো বলেন, জীবন-জীবিকার চাকাকে সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের মতন অচলায়তনে মানুষকে বন্দী করতে চান না। তবে ঘরে বাইরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিক-পারিবারিক-সামাজিক নিরাপত্তা ও দায়িত্বর বিষয়টি প্রত্যেকের নিজের কাঁধেই বর্তায়। এ ক্ষেত্রে তিল পরিমাণ ছাড় দেয়া ও শিথিলতা প্রদর্শনের অবকাশ নেই। ভাই প্রত্যেককে প্রথমে অনুরোধ জানালাম। তারপরও যারা ‘ডোন কেয়ার’ আচরণ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
তিনি আজ সকালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জুবিলী রোড, তিন পোল, রেয়াজউদ্দিন বাজার, স্টেশন রোড, নিউমার্কেট এলাকায় মাস্ক ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, ১৯ নভেম্বরের পর থেকে জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমাণ আদালত টিমের সাথে সমš^য় করে করোনাকালে এখনও যারা বেপরোয়া তাদের বিরুদ্ধে চসিক সরাসরি অভিযানে নামবে। একই সাথে মানবিক নগরী গড়ে তুলতে যে আবেদন-নিবেদন করা হয়, তাতে যারা এখনো কর্ণপাত করছে না তাদের খুঁটির জোর যতই গভীর হোক না কেন তা উপড়ে ফেলা হবে।
তিনি হকারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি কারো পেটে লাথি মারতে চাইনা। হকারদের জন্য কিছু নিয়ম-কানুন ও টাইম টেবল বেঁধে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। তারা ফুটপাতই শুধু দখল করে রাখেনি, সড়কের বড় অংশও দখল করে জন ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়িয়ে সহ্যের সীমা লক্সঘন করে চলেছে। এদেরকে যাঁরা প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদেরকে চিনি। এদের মধ্যে বেড ইমেজের তথাকথিত কিছু নেতা আছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে সকলের সহযোগিতা চাই।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমরা কাঁচাবাজারগুলো নিয়মিত পরিস্কার করছি। কিন্তু কিছু অবিবেচক বিক্রেতা তরিতরকারীর বর্জ্য ও পঁচা পণ্য রাস্তা ও নালা-নর্দমায় ফেলছে। মানুষ চলাচলসহ পানি চলাচলের পথও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দুর্গন্ধময় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এখন থেকে বাজার কমিটি এবং সড়কের উপর বসা ভ্রাম্যমান তরিতরকারী বেঁচা-কেনার সাথে যারা জড়িত তারা এই বিষয়টির দেখ-ভাল করবেন। এতে ব্যত্যয় ঘটলে আমি কঠোর হতে বাধ্য হবো।
এ সময় মাহাবুবুল হক সুমন, কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সালাম মাসুম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, আলী আকবর, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, রকিবুল আলম সাজ্জাদ, আবদুর রহমান বাহার, মো. জয়নাল উদ্দিন, সিবলী সাদেক, অনির্বান দাশ বাবু, মোহাম্মদ হানিফ, মোহাম্মদ নোমান, মো. আকতার, মো. এনাম উদ্দিন, সরওয়ার উদ্দিন ও মুনিরুল হক মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৪ ঘণ্টা/রিহাম
Leave a Reply