চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিক, অনুবাদক শোয়েব খান এর মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিএফইউজে, সিইউজে, প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম রিপোর্টাস ফোরাম ও চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) সকাল পৌনে আটটার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম নগরের সিএসসিআর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। বাদ যোহর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মরহুমের জানাযা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানেই জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। গত দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সাংবাদিক এস এম শোয়েব খান।
প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত জানাযার পূর্বে সাংবাদিক শোয়েব খানের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন স্মরণ করে সংক্ষিপ্ত স্মরণ সভায় প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম ।
জানাযায় বিজিএমইএ প্রাক্তন প্রথম সহসভাপতি নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর নিয়াজ মোহাম্মদ খানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। সেখানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
তথ্যমন্ত্রীর শোক : সাংবাদিক শোয়েব খানের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এক বিবৃতিতে তিনি প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তথ্যমন্ত্রী শোকবার্তায় মরহুমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং দৈনিক পূর্বকোণসহ বেতার ও টেলিভিশনে তার কর্মময় জীবনের কথা স্মরণ করেন।
বিএফইউজে’র শোক : বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এস এম শোয়েব খান মৃত্যুতে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, মহাসচিব ও দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে নবনিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, নির্বাহী সদস্য রুবেল খান ও আজহার মাহমুদ এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে বিএফইউজে নেতৃবৃন্দ শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। নেতৃবৃন্দরা বলেন, ‘ সাংবাদিক এস এম শোয়েব খান সৎ অমায়িক নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিক ছিলেন । তাঁর মৃত্যুতে সংবাদ মাধ্যমের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। সাংবাদিক সমাজে তাঁর অবদান স্মরণীয় থাকবে।
তাছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক সোয়েব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম সভাপতি কাজী আবুল মনসুর ও সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতা ও সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ ।
মরহুমের গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ির বাবুনগরে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যাসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
প্রায় ৩০ বছর তিনি দৈনিক পূর্বকোণের সহ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া বেতার ও টেলিভিশনেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম ব্যাচের লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র ছিলেন এসএম শোয়েব খান। সাংবাদিকতায় যুক্ত হন ১৯৯০ সাল থেকে।
রাজীব/২৪ ঘণ্টা
Leave a Reply