ব্যাট-বলের দুর্দান্ত পারফর্মে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করল মোহাম্মদ মিঠুনের দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের বোলিং তান্ডবে আগে ব্যাটিং করে কেবল ৮৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল ঢাকা। জবাবে চট্টগ্রামকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে দেন সৌম্য-লিটন।
স্বল্প লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। দুইজনের ব্যাট থেকেই নিয়মিত বিরতিতে আসতে থাকে বাউন্ডারি। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে এই দুইজনে যোগ করেন ৫১ রান। রানের উদ্বোধনী ছুটতে থাকে দুর্দান্ত গতিতে। দলকে জয়ের বন্দরে রেখে নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে লিটন করেন ৩৩ বলে ৩৪ রান। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও একটি ছক্কা।
দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন সৌম্য। তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৪৪ রান। ইনিংসটি সাজানো ছিল চারটি চার ও দুইটি ছক্কায়। চার হাঁকিয়ে চট্টগ্রামের জয় নিশ্চিত করেন মুমিনুল হক। ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেল চট্টগ্রাম।
তার আগে ব্যাটিং করে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হয় বেক্সিমকো ঢাকা। টস জিতে চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ঢাকাকে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ২১ রানের মধ্যেই ঢাকার টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম ও নাহিদুল ইসলাম। সাব্বির রহমান ১০ বলে ০ রান করে বিদায় নেন। গোল্ডেন ডাকের শিকার হন মুশফিকুর রহিম।
একপ্রান্তে ঢাকার পক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন নাঈম শেখ। তার ব্যাটে ভালো পুঁজির স্বপ্ন দেখছিল ঢাকা। তবে মোসাদ্দেকের জোড়া আঘাতে ভেঙে যায় সেই স্বপ্ন। শরিফুল ও মুস্তাফিজুর রহমান নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ঢাকাকে ঠেলে দেন ব্যাকফুটে। সেই ধাক্কা সামলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ঢাকা। ৮৮ রানেই অলআউট হয়েছিল তারা।
চট্টগ্রামের পক্ষে দুইটি করে উইকেট শিকার করেছিলেন মোসাদ্দেক, শরিফুল, মুস্তাফিজ ও তাইজুল। মুস্তাফিজ ও শরিফুল একটি করে মেডেন ওভারও উপহার দেন। একটি করে উইকেট পান নাহিদুল ও সৌম্য সরকার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বেক্সিমকো ঢাকা ৮৮/১০ (১৬.২ ওভার)
নাঈম ৪০, আকবর ১৫, মুক্তার ১২, নাসুম ৮, তানজিদ ২, দীপু ২;
মোসাদ্দেক ২/৯, শরিফুল ২/১০, মুস্তাফিজ ২/১৩, তাইজুল ২/৩২, সৌম্য ১/২, নাহিদুল ১/১৩।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৯০/১ (১০.৫ ওভার)
সৌম্য ৪৪*, লিটন ৩৪, মুমিনুল ৮*;
নাসুম ১/৫।
Leave a Reply