লক্ষ্মীপুরে এসিড সন্ত্রাসের শিকার ৩ নারী

অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নার্সিং ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীসহ ৩ নারী এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। তারা লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল, নোয়াখালী ও কুমিল্লা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

জানা গেছে, রায়পুর উপজেলার ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব কেরোয়া গ্রামের দেওয়ানবাড়ির সোলেমান আহাম্মেদ সেলিমের ঘরে এ্যাসিড সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে। এতে আনোয়ারা বেগম(৪৫) সুমা আক্তার(২২) ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা নার্সিং ছাত্রী সুফিয়া আক্তার রুনা (১৭)নামের ৩ জন আহত হয়। তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিলে অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক নোয়াখালী প্রেরণ করেন। সেখানেও কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা বেগতিক দেখে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

চলতি বছরের ২৫মে এসিড সন্ত্রাসের শিকার হলেও এসিড নিক্ষেপকারী মাহফুজুর রহমান রবিবার গ্রেফতার হয়। গ্রেপ্তারকৃত মাহফুজুর রহমান মাজিদ সোলেমান আহাম্মেদ সেলিমের মেঝো কন্যা সুমার স্বামী।

সুমা আক্তার লক্ষীপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনা কালীন সময়ে বিভিন্ন প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে মাহফুজুর রহমান মাজীদ সুমাকে বিয়ে করে। পরে যখন জানা গেলে প্রতারক মাজিদের আরো তিনজন স্ত্রী রয়েছে তখন সুমার পরিবার বিয়ে ভেঙে দিতে চাইলে মাহফুজুর রহমান মাজীদ বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালায়।

প্রথমে বিষ প্রয়োগ করে ১১ টি হাঁস মেরে ফেলে, তার নিকট আত্মীয় দেলোয়ার হোসেন নামের এক বখাটেকে দিয়ে বসতঘরে দুইবার আগুন ধরিয়ে দেয়।এতেও ক্ষান্ত না হয়ে সর্বশেষ কৌশলে প্রতারক নারীলোভী জুসের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দিয়ে অচেতন করে শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম, শালিকা সুফিয়া আক্তার রুনা ও নিজ স্ত্রী সোমা আক্তারের উপর এসিড নিক্ষেপ করে।

এই নিয়ে সোলেমান আহমেদ সেলিম লক্ষীপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং জিআর ১২১/২০) রুজু করলে মাহফুজুর রহমান মাজিদ গ্রেপ্তার হয়।
মাহফুজুর রহমান মাজিদ গ্রেফতার হওয়ার পর তার সঙ্গীয় দেলোয়ার হোসেন সোলেমান আহমেদ সেলিমকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি ধামকি দেয়। মামলা তুলে না নিলে প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলারও হুমকি দেয় বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন মামলার বাদী সোলেমান আহমেদ সেলিম।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *