পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দলের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের দেওয়া রানের ১৭৬ রানের জবাবে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী থামে ১৭৫ রানে। এক রানের জয়ে টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকলো চট্টগ্রাম।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে রাজশাহীর দারুণ শুরু এনে দেন আনিসুল ইসলাম ইমন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। পাওয়ারপ্লেতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৫৬ রান এনে দেয় এই জুটি। এর আগের সর্বোচ্চ ৫৪ রান এই ম্যাচেই করে চট্টগ্রাম। শান্তকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। রাজশাহীর অধিনায়ক করেন ১৪ বলে ২৫ রান। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছক্কা।
১২ ওভারে রাজশাহীর তিন অঙ্ক পূর্ণ হয়। মোহাম্মদ আশরাফুলের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ রানে জুটি গড়েন ইমন। আশরাফুল করেন ১৯ বলে ২০ রান। আউট হওয়ার আগে একবার জীবন পান আশরাফুল এবং ওভার থ্রোয়ের কারণে সেই বলে ৬ রান পান তিনি। এক ওভার পরেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা ইমনকে বোল্ড করেন জিয়াউর রহমান। এই ২৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার করেন ৪৪ বলে ৫৮ রান। তার ইনিংস ছিল ৬টি চার ও ১টি ছক্কার মাধ্যমে গড়া।
টানা দুই বলে ফিরে যান শেখ মেহেদী হাসান ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি। উইকেট দুইটি নেন যথাক্রমে মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। মেহেদী করেন ১৭ বলে ২৫ রান এবং রাব্বি করেন ৯ বলে ১১ রান। তারপরেও রাজশাহীকে ম্যাচে ধরে রাখেন নুরুল হাসান সোহান। রানের চাকা সচল রেখে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন সোহান ও ফরহাদ রেজা।
শরিফুলের টানা দুই বলে ছক্কা ও চার হাঁকানোর পরের বলেই ক্যাচ আউট হয়ে যান ফরহাদ। জয়ের জন্য শেষ ওভারে রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। তবে তারা সংগ্রহ করতে পারে ১২ রান। ফলে ১ রানে হার মানে রাজশাহী।
তার আগে চট্টগ্রামের পক্ষে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬২ রান। অষ্টম ওভারে এই জুটি ভাঙেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। আনিসুল ইসলাম ইমনের তালুবন্দী হয়ে ফিরে যান সৌম্য। ২ ছক্কা ও ৪ চারে ২৯ বলে ৩৪ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
চট্টগ্রামের অধিনায়ক মিঠুন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ইমনের বলে বোল্ড হন মিঠুন। একপ্রান্তে অবিচল থেকে অর্ধশতক তুলে নেন লিটন দাস। টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক স্পর্শ করেন ৩৫ বলে। মিঠুনের বিদায়ের পরে শামসুর রহমান শুভও ফিরে যান ১ রান করেই। ফরহাদ রেজার বলে বোল্ড হন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে জুটি গড়েন লিটন। জীবন পেয়ে সেটা কাজে লাগান মোসাদ্দেক। এই ব্যাটসম্যান রানের চাকা সচল রাখলে চট্টগ্রাম এগিয়ে চলে বড় সংগ্রহের দিকে। দুইজনে শেষ ৫ ওভারে তোলেন ৬১ রান।
লিটন অপরাজিত থাকেন ৭৮ রানে। তিনি খেলেন ৫৩টি বল। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১টি ছক্কা ও ৯টি চারে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এটিই লিটনের সর্বোচ্চ ইনিংস। আগে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৭৫ রানের। মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে চট্টগ্রাম সংগ্রহ করে ১৭৬ রান। রাজশাহীর পক্ষে ৩টি উইকেট শিকার করেন মুগ্ধ। একটি করে উইকেট পান ফরহাদ ও ইমন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ১৭৬/৫ (২০ ওভার)
লিটন ৭৮*, মোসাদ্দেক ৪২, সৌম্য ৩৪;
মুগ্ধ ৩/৩০।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ১৭৫/৭ (২০ ওভার)
ইমন ৫৮, শান্ত ২৪, আশরাফুল ২০;
মুস্তাফিজ৩/৩৭, শরিফুল ২/৪১
Leave a Reply