বরিশালের বিপক্ষে খুলনার দাপুটে জয়

দ্বিতীয়বারের দেখায়ও তামিম ইকবালের দলকে হারালেন সাকিব-রিয়াদরা। জাকির হোসেনের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহ করার পরে বল হাতে ভালো করেছে জেমকন খুলনার বোলাররাও। ফরচুন বরিশালকে তারা ১২৫ রানে অলআউট করে ৪৮ রানের জয় পেয়েছে।

১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনকে সাথে নিয়ে বরিশালকে ভালো শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল। শুভাগত হোমের এক ওভারেই ম্যাচে ফিরে আসে খুলনা। শুভাগত ও শামীম হোসেনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুলনা এগিয়ে যায়। এক ওভারেই শুভাগত শিকার করেন তামিম ও পারভেজকে। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন পারভেজ ও ক্যাচ আউট হন তামিম।

১ ছক্কা ও ৪ চারে ২১ বলে ৩২ রান করেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম। পারভেজের ব্যাট থেকে ১ ছক্কায় ১৯ রান। তারা দুইজনে ফেরার পরের ওভারেই রান আউটের শিকার হন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ম্যাচে ফেরার পরে খুলনার বোলাররাও বেশ ইকোনোমিকাল হয়ে ওঠেন।

ইরফান শুক্কুর ও তৌহিদ হৃদয় জুটি গড়ে বরিশালকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তাদের ৩১ রানের জুটি ভেঙে দেন সাকিব আল হাসান। তারপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে এগোতে থাকেন হৃদয়। তবে ততক্ষণে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বরিশাল। আল আমিন হোসেনের বলে শামীমের এক অসাধারণ ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরেন অঙ্কন।

বরিশালের পক্ষে একাই লড়াই করতে থাকা হৃদয়কে ফেরান হাসান মাহমুদ। আরিফুল হকের হাতে এক সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। করেন ২৭ বলে ৩৩ রান। সেই ওভারে তাসকিনকেও শিকার করেন হাসান।

শেষ ওভারে শহিদুল ইসলাম পান ২টি উইকেট এবং একটি রান আউট হয়। বরিশাল অলআউট হয়ে ১২৫ রানে। ফলে জেমকন খুলনা পেয়েছে ৪৮ রানের জয়। টুর্নামেন্টে এটি খুলনার তৃতীয় জয়।

তার আগে বড় পরিবর্তন এনে খুলনা ইনিংস উদ্বোধনে পাঠায় জাকির হাসান ও জহুরুল ইসলাম অমিকে। শুরতেই তাদের চেপে ধরেন আবু জায়েদ রাহি ও তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন জহুরুল। ফেরার আগে করেন ১০ বলে ২ রান।

দ্বিতীয় উইকেটে হাত খুলে খেলতে থাকেন ইমরুল কায়েস ও জাকির। টুর্নামেন্টে প্রথম সুযোগ পেয়েই অর্ধশতক হাঁকান জাকির। ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এই দুইজনের ব্যাটে দারুণ গতিতে এগিয়ে চলছিল খুলনা। সেই সময়ে ইমরুলকে শিকার করে ব্রেক থ্রু এনে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। পরের ওভারে জাকিরকে শিকার করেন তাসকিন।

৩৪ বলে ৩৭ রান করে তামিমের তালুবন্দী হন ইমরুল। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও একটি ছক্কা। দৃষ্টিনন্দন সব শটে জাকির করেন ৪২ বলে ৬৩ রান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ চার দিয়ে।

সাকিব ভালো শুরু করলেও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। তানভীর ইসলামের বলে সীমনার কাছে তৌহিদ হৃদয়ের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। তিনি ২ চারে করেন ১০ বলে ১২ রান।

শেষ দিকে অধিনায়ক রিয়াদের ১৪ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে খুলনা সংগ্রহ করেছিল ১৭৩ রান। ১ বলে ৬ রানে আরিফুল হক ও ২ বলে ৫ রানে শুভাগত হোম অপরাজিত থাকেন।

আজকেও দুর্দান্ত বোলিং করেন শুরু বরিশালের পেসার তাসকিন। কিন্তু শেষটা রাঙাতে পারেননি তিনি। ৪৩ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। শেষ ওভারে ২টিসহ মোট ৩টি উইকেট পান রাব্বি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

জেমকন খুলনা ১৭৩/৬ (২০ ওভার)
জাকির ৬৩, ইমরুল ৩৭, রিয়াদ ২৪, সাকিব ১২;
রাব্বি ৩/৩৩, তাসকিন ২/৪৩, তানভীর ১/১৬।

ফরচুন বরিশাল ১২৫/১০ (১৯.৫ ওভার)
হৃদয় ৩৩, তামিম ৩২, পারভেজ ১৯, ইরফান ১৬;
শহিদুল ২/১৭, শুভাগত ২/১৮, হাসান ২/১৮, সাকিব ২২/১।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *