খাল-নালা-নর্দমা ডাস্টবিন নয়: চসিক প্রশাসক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন চারদিন আগে পূর্ব বাকলিয়া সিটি কর্পোরশেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভায় যাওয়ার পথে ওই এলাকার বির্জাখালে আবর্জনার স্তুপ ও কচুরিপানা দেখতে পেয়ে তা পরিস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

আজ শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে এই এলাকায় গিয়ে কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী ও সেবকদের নিয়ে খালের ময়লা আবর্জনা, কচুরিপানা পরিস্কার নেমে পড়েন তিনি।

এসময় স্থনীয় অধিবাসীদের মধ্যে মো. মুছা সওদাগর, কফিল উদ্দীন, সফিউল আজম বাহার, চেিসকের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান আহমেদ ইমু, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা নাঈম রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসক বাকের আলী বলির বাড়ির সম্মুখ থেকে খালের ময়লা আবর্জনা পরস্কিার কার্যক্রম শুরু করেন।

খালের আবর্জনা পরিস্কার কার্যক্রম চলাকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, খাল-নালা হলো পানি চলাচলের পথ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, নগরবাসীদের একটি অংশ অসেচতনভাবে খালে-নালায় ময়লা আবর্জনা ফেলছে। পূর্ব বাকলিয়া বির্জাখালেও দেখা গেল গৃহস্থালী বর্জ্য, পঁচা পেয়াজ, ছেড়া টেবিল ক্লথ, পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য। এই খাল এখন কচুরিপানা, ময়লা আবর্জনায় ও মশার প্রজনন আখড়ায় পরিনত হয়েছ। একদিকে করোনা মাহামারীর সংক্রমণ বেড়েছে। অপরদিকে যদি মশার উৎপাত ও কামড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তাই নগরবাসীর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনাদের চারপাশ, বাড়ির অঙ্গিনা, পুকুর জলাশয় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। খাল-নালা ডাস্টবিন নয়। এখানে গৃহস্থালী বর্জ্যসহ কোন প্রকার ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না। যদি ফেলেন তাতে আপনাদের পরিবেশের ক্ষতি ও রোগ বালাইয়ে আপনাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।

তিনি আরো বলেন, এখন করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ চলছে, কাজেই প্রয়োজনীয় কাজে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করবেন। কারণ কোভিড-১৯ ছোঁয়াছে। নিজে সুরক্ষা নিয়ে চলাচল না করলে এতে পরিবার ও প্রতিবেশীরাও আক্রান্ত হতে পারে। তাই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। প্রশাসক বলেন আমরা ইতোপূর্বে ইছহাকের পোলের পাশে খাল পরিস্কার করেছি। আজ এই বির্জা খাল পরিস্কার শুরু করলাম।এলাকাবাসীকেও সচেতন হতে হবে। এরপর যদি কোন ময়লা আবর্জনা খাল-নালায় ফেলা হয় তাহলে আশপাশের বাসিন্দাদের জরিমানা করা হবে।

আবর্জনা পরিস্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে প্রশাসক এলাকা হেঁটে ঘুরে দেখেন এবং গরীব অসচ্ছল মানুষের মাঝে করোনা সচেতনতায় মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন। পরে করোনা থেকে দেশের মানুষের সুরক্ষায় তিনি বিশেষ মুনাজাতও করেন।

রাজাখালী ব্রিজের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন: এদিকে পূর্ব বাকলিয়া থেকে ফেরার পথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে চলামান নগরীর বাকলিয়ায় রাজাখালী ব্রিজের উন্নয়ন কাজ পরির্দশন করেন।

সিটি কর্পোরেশনরে প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায় এই ব্রিজ নির্মাণে অর্থায়ন করেছে জাইকা। ব্রিজটি নতুনভাবে নির্মাণে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *