বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ১৮তম ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম পেয়েছে ৭ উইকেটের জয়।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান জড়ো করে বরিশাল। অর্ধশতকের খুব কাছে গিয়েও হতাশ হয়ে ফিরতে হয় দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসানকে। সাইফ ৩৩ বলে ৪৬ ও তামিম ৩৯ বলে ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
১১তম ওভারে ৮৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙলে খেই হারায় বরিশাল। কাছাকাছি সময়ে সাজঘরে ফেরেন সাইফ ও তামিম। এরপর কেউই প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাটিং করতে পারছিলেন না। শেষদিকে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ১৬ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস দলকে এনে দেয় সম্মানজনক পুজি। চট্টগ্রামের পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন সঞ্জিত সাহা, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও জিয়াউর রহমান।
মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামের মত এই ম্যাচে বিশ্রাম পেয়েছিল লিটন দাস। সৌম্য সরকার তাই ব্যাটিং সূচনা করতে নামেন সৈকত আলীকে সঙ্গে নিয়ে। বরিশালের বিপক্ষে আগের দেখায় ক্যামিও খেলা সৈকত সৌম্যকে নিয়ে দেখেশুনে খেলে যান। উদ্বোধনী জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৭৯ রান।
৩৩ বলে ৩৯ রান করে সৈকত বিদায় নিলে সৌম্য সঙ্গ পান মাহমুদুল হাসান জয়ের। জয়ের সমর্থনে সৌম্য অর্ধশতকও পূর্ণ করেন। তবে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়তে পারেননি। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৬২ রানের সৌম্য ঝড় থামে দলীয় ১১৯ রানে, দল যখন জয় থেকে সামান্য দূরে। ব্যাট হাতে এদিনও ব্যর্থ হন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ৩ রান করে সুমন খানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। তবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল হাসান জয়। ২৭ বলের মোকাবেলায় ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। চট্টগ্রাম জয় পায় ৭ উইকেট ও ৮ বল হাতে রেখেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম
ফরচুন বরিশাল : ১৪৯/৬ (২০ ওভার)
সাইফ ৪৬, তামিম ৪৩, আফিফ ২৮*
মোসাদ্দেক ১৬/২, সঞ্জিত ২২/২, জিয়াউর ২৫/২
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১৫৩/৩ (১৮.৪ ওভার)
সৌম্য ৬২, সৈকত ৩৯, জয় ৩১*
সুমন ৩০/২, মিরাজ ৩২/১
ফল : গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৭ উইকেটে জয়ী।
Leave a Reply