পানি চলাচলের পথ আবর্জনা ফেলে ভরাট করা দন্ডনীয় অপরাধ : সুজন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, যারা খাল-নালা-নদর্মাকে ডাষ্টবিন বানিয়ে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত করছে তাদেরকেই নিজ দায়িত্বে এগুলো পরিস্কার করতে হবে। আবর্জনা ফেলে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করা দন্ডনীয় অপরাধ। তাই অভিযুক্তকে জেল জরিমানার দন্ড ভোগ করতে হবে।

তিনি আজ সকালে নগরীর ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে ফইল্যাতলী বাজার সংলগ্ন মহেষখাল পরিস্কার অভিযান পরিচালনাকালে একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, মহেষখাল দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে পানি চলাচল করে। এই খালটি বার বার পরিস্কার করার পরও এলাকাবাসীর হুশ হয়না। তারা প্রকাশ্যে খালে আবর্জনা ফেলে। তাই এই জায়গা গুলো মশার প্রজনন কেন্দ্র ও রোগ-বালাইয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এলাকাবাসীকে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, নিজেদের বাসা-বাড়ী-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তা ও নালা-নদর্মা নিজেরাই পরিস্কার রাখবেন। এটা সামাজিক কর্তব্য। কেউ কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে যথেষ্ট খরচা-পাতি করেন। তাদের উচিত সমাজের ভালোর জন্য কাজ করা, জনকল্যাণমমুখী সেবা প্রদান করা।

তিনি আরো বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা-নালা-নদর্মা করছে। অথচ এগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। সমাজের প্রতি উদাসীনতা একটি আত্মঘাতী মানসিকতা। মনে রাখতে হবে স্বার্থপরতা মানবিকতার পরিপন্থী। এই মানসিকতা পরিহার করে সর্বজনীন ও মানবিক হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, নিজে বাঁচুন, অপরকে বাঁচান এবং শুদ্ধাচারী জীবনযাপন করুন। আমি এবার নালা পরিস্কার করে গেলাম। যদি এখানে আবর্জনা কেউ ফেলে তা নিজেকেই পরিস্কার করতে হবে।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তঅ প্রণব শর্মা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি খোন্দকার আব্দুল হক বাবুল, পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ওয়াহিদুল আমিন, আরিফুল আমিন ও ডা. অর্জুন কুমার দাশ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *