চট্টগাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,কারো রক্তচক্ষুকে ভয় না পেয়ে ভোট সেন্টার পাহারা দিতে হবে। আমরা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সৈনিক। শহীদ জিয়া পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং দীর্ঘ নয় মাস রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আর স্বাধীনতার ঘোষকের দল হচ্ছে বিএনপি। আগামীর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মামলা -হামলা নির্যাতন উপেক্ষা করে ভোট সেন্টারে যেতে হবে। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে স্টেশন রোড প্যারামাউন্ট সিটি হলে ৩১ নং আলকরণ ওয়ার্ডের উদ্যোগে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, এই মাস বিজয়ের মাস। আমাদের শপথ নিতে হবে গণতন্ত্র মুক্তির। সন্ত্রাস, দুর্নীতি বাজ, ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই দুর্নীতিবাজ সরকার বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে দুর্নীতিবাজ ও দুঃশাসনের রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি করেছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই ওয়ার্ডে অতীতের কোনো নির্বাচনে বিএনপিকে হারাতে পারে নাই। আলকরণ ওয়ার্ড বি এন পির একটি শক্তিশালী সংগঠন। এই সরকার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়েছে। কিন্তু এত নির্যাতন নিপিডনের পরও কেউ রাজপথ ছেড়ে যায়নি। আমরা অনেক স্বৈরাচার সরকার দেখেছি। কিন্তু কোন স্বৈরাচার বেশিদিন টিকে থাকতে পারে নাই। আর এই সরকারও পারবে না। আগামী মেয়র নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু হলে বিএনপি’র মনোনীত মেয়র প্রার্থী জননেতা ডা. শাহাদাত হোসেন বিপুল ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করবে। তাই আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভোট সেন্টার পাহারা দিতে হবে। আর যারা দলের সাথে বেইমানি করবে,তাদেরকে এবার ছাড় দেওয়া হবে না।
৩১ নং আলকারন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদারুল রহমান লাবু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জসিম মিয়া’র সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিঃ যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সম্পাদক আবদুল নবী প্রিন্স, হকার্স সম্পাদক আবদুল বাতেন, সহ বানিজ্য সম্পাদক ওয়াহেদুল আলম, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, আরো বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সদস্য হামিদুর রহমান, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সিনিঃ যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর শুক্কুর, প্রচার সম্পাদক মোঃ রিয়াদ, সহ শ্রম সম্পাদক সালে আহাম্মদ, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী আরজুন নাহার মান্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিঃ যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা, নগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সেলিম, সহ সম্পাদক মোঃ বেলাল, নগর শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন, ব্যবসায়ী নেতা মোঃ আবু তালেব, মোজাম্মেল হক, দোকান কর্মচারী সমিতির সাবেক সাবেক সভাপতি মোঃ আজম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকরাম, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মোঃ ইসহাক, মোঃ রাসেদ, মোঃ সাদেক, গিয়াস উদ্দিন বাবুলু, মোঃ সেলিম, মাঈন উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম শিপন, ফয়সাল ভুইয়া, রফিকুল ইসলাম খোকন, মোঃ মোতালেব, মোঃ ডালি, মোঃ ফরিদ, মোঃ মহিন, হাবিবুর রহমান, মোঃ শফি, মোঃ শাহজাহান, মোঃ কাসেম, মোঃ ফারুক, মোঃ জুয়েল, দেলোয়ার, মোঃ সুরুজ, মোঃ জয়নাল, মোঃ জাবেদ প্রমূখ।
Leave a Reply