কামরুল ইসলাম দুলু : সীতাকুণ্ডে পুলিশের পৃথক বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৭০ পিস ইয়াবা, ১৫ লিটার চোলাই মদ এবং ২০ পুরিয়া গাঁজাসহ ৬ জনকে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ। এছাড়া ওয়ারেন্টভুক্ত আরো ৬ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
এসআই রাশেদুজ্জামান বেগ এর নেতৃত্বে সীতকুণ্ডে বাস ষ্ট্যান্ডে পৃথক পৃথক অভিযানে আব্দুল আলীম (২৯) এর কাছ থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আটক যুবক কক্সবাজারের টেকনাফ থানার হোয়াইক্যং গ্রামের মৃত মোঃ ফরিদ উদ্দিনের পুত্র। ৭হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয় রাজন রক্ষিত (৩২) নামের এক যুবককে। সে রাঙ্গামাটির তবলছড়ির তপন রক্ষিতের পুত্র।
এসআই ইলিয়াছ মাহমুদের নেতৃত্বে পৃথক পৃথক অভিযানে ইদ্রিস মিয়া প্রকাশ ছুট্টু (৫৫) এর কাছ থেকে ১৫ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। সে উপজেলার ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুরস্থ দেলীপাড়ার কবির আহম্মদের পুত্র। ছোট কুমিরা এলাকায় আবদুল জলিল (৫৫) থেকে ২০ পুরিয়া গাজা ও ৭০ পিছ ইয়াবা ট্যবলেট উদ্ধার হয়। সে মসজিদ্দা জৈন্না পুকুর পাড়া এলাকার মৃত তোফায়েল আহম্মদের পুত্র।
এসআই নুরুন নবীর নেতৃত্বে ভাটিয়ারী এলাকার ফুলকলি মিষ্টির দোকানের সামনে থেকে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ ফারুক হোসেন (২৭) নামে এক যুবককে আটক করা হয়। সে কক্সবাজারের ভারুয়াখালী (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের মোঃ ফেরদৌসের পুত্র। এসআই আশরাফ ছিদ্দিকীর নেতৃত্বে ভাটিয়ারী বাস ষ্ট্যান্ড এর আজমীর হোটেলের সামনে থেকে মোঃ জিয়াবুল হক (২২) নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার হ্নীলা গ্রামের নুরুল হাকীমের পুত্র। উদ্ধারকৃত ১১ হাজার ইয়াবার মূল্য ৩৩ লক্ষ টাকা।
এছাড়া সীতাকুণ্ড থেকে ৫ জন ওয়ারেন্টভুক্ত এবং একজন সাজা প্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
এব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, সরকার মাদকের ব্যাপারে জিরোটলারেন্স। আটককৃতদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে। নিয়মিত অভিযান চলছে। আটককৃতদের মাদকদ্রব্য আইনে আদালতে চালান করা হয়েছে।
Leave a Reply