চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ১৯৭১ সালে গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে শুরু হয়েছিল চূড়ান্ত স্বাধীনতার যুদ্ধ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই বিপ্লব উদ্যানেই পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন।
তাই এই বিপ্লব উদ্যান, স্বাধীনতার ঘোষণা ও শহীদ জিয়া একসূত্রে গাঁথা। ২৫ মার্চ জাতি যখন দিক নির্দেশনাহীন ঠিক তখনই দিশেহারা জাতিকে মুক্তি দিতে জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব ঘটে।কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। কিন্তু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র আজ নিরুদ্দেশ।
আওয়ামীলীগ সরকার কুটকৌশলে হরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র। ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য ৪৯ বছর পরও লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরে পেতে ১২ বছর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।
তিনি আজ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর নগরীর ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে বিজয়ের চেতনায় গণতন্ত্র মুক্ত হোক আধার কেটে আলোর প্রত্যয় ৩৯ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বিপ্লব উদ্যান পুষ্পস্তবক অর্পন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন,
দেশের জনগণ নির্বাচনের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব চসিক নির্বাচনে সে আস্থা ফিরিয়ে আনা। জনগণের দেওয়া রায় যেন ভূলুণ্ঠিত না হয় এবং নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে ব্যবস্থা করা। ভোটাররা ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দিতে পারে তার ব্যবস্থা করা। তাই নির্বাচন নিয়ে জনমনে যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করার জন্য সরকার ও ইসিকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন,১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা গণতন্ত্র পেয়েছিলাম৷ দেশের মানুষ ফিরে পেয়েছিল তাদের অধিকার৷ কিন্তু, সেই গণতন্ত্র ও অধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত৷ তাই জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে৷ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনকেও আমরা আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি৷ বিএনপি চাইলে রাজপথে আন্দোলন করতে পারে৷ সে শক্তি বিএনপির আছে৷ কিন্তু বিএনপি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী৷ আগমী চসিক নির্বাচনে ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে মেয়র পদে বিজয় করার মাধ্যামে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন তরান্নিত করার আহবান জানাই।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও দেশে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র নেই। যে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি আজকে সেই বাংলাদেশকে দেখছি না। সেই দেশ অচেনাএক দেশ হয়ে গেছে, স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেছে। হারানো গণতন্ত্র ফেরানোর লক্ষ্যে অপশক্তিকে পরাজিত করার শপথ নিতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম এর আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি এর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব ডা.বেলায়েত হোসেন ডালির সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া, শফিকুর রহমান স্বপন, যুগ্ন সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম নগর মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদিকা জেলী চৌধুরী, নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জসিম উদ্দিন চৌধুরী , মাহাবুব রানা, এডভোকেট জালালউদ্দিন পারভেজ, সালাউদ্দিন আলী, এডভোকেট রুনা কাশেম, ডা.কাজী মাহবুবুল আলম , ডা. মঈন উদ্দিন, ডা. ওমর ফারুক পারভেজ , ডা. মেহেদী হাসান, ডা. প্রীতম, এডভোকেট শাহাদাত হোসেন , এডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম, এডভোকেট তাপসী জহুরা, এডভোকেট আতাউর রহমান রুবেল, সাজ্জাদ হোসেন খান, মহিউদ্দিন খান রাজিব, এম জি কিবরিয়া, আরশে আজিম আরিফ, বিপ্লব চৌধুরী বিল্লু, শহিদুল আলম রনি, মনির হোসেন আবির, তাসলিমা আক্তার লিমা, পারভিন চৌধুরী, ফারহানা দেওয়ান মাহমুদা খানম লিটার প্রমুখ।
Leave a Reply