গণতন্ত্র ফিরে আসার পথ কেউ রোধ করতে পারবে না: ডা.শাহাদাত

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ২৫ মার্চ জাতি যখন দিক নির্দেশনাহীন ঠিক তখনই দিশেহারা জাতিকে মুক্তি দিতে জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের আবির্ভাব ঘটেছিল। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। কিন্তু আজকে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেয়া হচ্ছে না।

ক্ষমতাসীনেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে গোটা জাতিকে বিকৃত ইতিহাস দিচ্ছেন। বর্তমানে দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনীতি নেই, আছে শুধু দলনীতি। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে এর পরিপন্থী কাজ করে। স্বাধীনতার চেতনা কি একদলীয় শাসন? মানুষের ভোটাধিকার হরণ? এসব অপকর্ম করে আর বেশীদিন চালানো যাবেনা। জনগন জেগে ওঠেছে। গণতন্ত্র ফিরে আসার পথ কেউ রোধ করতে পারবে না। একদলীয় নীতি বেশি দিন চলবে না। সব রাজনৈতিক দল-মত-শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে।

তিনি মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এসময় ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচন। বিগত নির্বাচনের মতো এবারও আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতি করার চেষ্টা করবে। তার জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাহারা দিতে হবে। ভোট ডাকাতি করতে আসলে তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে। এ চট্টগ্রাম আমাদের, ভোট আমাদের, কাউকে পবিত্র আমানত ভোট ডাকাতি করতে দেওয়া যাবে না।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের দল। চট্টগ্রামের মাটি থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। আর সে ঘোষণায় মুক্তিকামী জনতা উদ্ধৃত হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে। আজকে যারা বড় গলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফেরি করে বেড়াচ্ছে তাদের বেশিরভাগই সে সময়ে ভারতে নিরাপদ আশ্রয়ে জীবন পার করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে যে স্বপ্ন নিয়ে বীর বাঙালি অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সে স্বপ্ন আজ ভূলুণ্ঠিত। আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মানাই না। তাদের হাতে দেশ ও স্বাধীনতা নিরাপদ নয়।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে আওয়ামী লীগ এখন মুক্তিযু্দ্ধের চেতনা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হয়েছে। যে ভোট আর মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিল সেই মতো প্রকাশের স্বাধীনতা এখন নাই। আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে মানুষের সংবিধানিক সকল অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। দেশের প্রশাসনকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে। এর থেকে আমাদের উত্তোরনের পথে বের করতে হবে। তার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ভোট ডাকাত ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সহ সভাপ‌তি আলহাজ্ব এম এ আ‌জিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শামসুল আলম, এড.আবদুস সত্তার, এস কে খোদা তোতন, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, শ‌ফিকুর রহমান স্বপন, মাহবুবুল আলম, নিয়াজ মোঃ খান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফ‌য়েজ, সিঃ যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কা‌জি বেলাল উ‌দ্দিন, মোঃ শাহ আলম, ইসকান্দার মির্জা, জাহা‌ঙ্গির আলম দুলাল, আবুল হা‌সেম, আ‌নোয়ার হো‌সেন লিপু, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, থানা বিএন‌পির সভাপ‌তি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোশারফ ‌হো‌সেন ডিপ‌টি, হাজী হানিফ সওদাগর, মোঃ সেকান্দর, আবদুস সাত্তার সেলিম, হাজী মোঃ সালাউদ্দীন, মোঃ আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারন সম্পাদক জেলী চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সাঃ সম্পাদক জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, মোঃ শাহাবুদ্দীন, আবদুল কাদের জসিম, মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, রোকন উদ্দীন মাহমুদ, মৎসজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, তাতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু ও সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ সহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *