বঙ্গবন্ধু টি-২০’র চ্যাম্পিয়ন খুলনা

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ২০২০ এ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে হারিয়ে আসরে শিরোপা জিতল জেমকন খুলনা। আগে ব্যাটিং করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে জেমকন খুলনা। জবাবে ১৫০ এ থামে চট্টগ্রাম। ৫ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো খুলনা।

শিরোপার জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে চার ও ছক্কা মেরে ভালো শুরু করেন চট্টগ্রামে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার; তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শুভাগত হোম রান তোলার গতিতে লাগাম টানার সাথে সাথে উইকেটও শিকার করেন। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই সৌম্যকে বোল্ড করেন তিনি। ওই ওভারেই ইমরুল কায়েস ক্যাচ ফেলাই জীবন পেয়েছিলেন সৌম্য।

নিজের প্রথম ওভারে এসে আল আমিন হোসেন দুর্দান্ত পেসে নাকাল করেন মোহাম্মদ মিঠুনকে। চট্টগ্রামের অধিনায়ক ফেরেন ৭ রানে (৫ বল)। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং করা লিটন রান আউট হন ২৩ রানে (২৩ বল)। ৫১ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম।

শামসুর রহমান শুভ ও সৈকত আলির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ বের করে নেওয়ার পথে থাকে চট্টগ্রাম। সেই সময়েই মাত্র ৩ রানের এক দুর্দান্ত ওভার করে আল আমিন চট্টগ্রামকে চাপে ফেলে। ফলশ্রুতিতে পরে ওভারেই হাসান মাহমুদকে মেরে খেলতে গিয়ে লং অনে শুভাগতর তালুবন্দী হন শামসুর। ৩ চারে ২১ বলে ২৩ রান করেন তিনি।

বেশ কিছু ক্যাচ হাতছাড়া করে খুলনার ফিল্ডাররা নিজেদের কঠিন ও সেই সাথে ম্যাচ জমিয়ে উঠতে সাহায্য করেন। শামসুর ফেরার পরে মোসাদ্দেক হোসেনের সাথে জুটি গড়েন সৈকত। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে। ৪১ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে চট্টগ্রামের দরকার ছিল ১৬ রান। প্রথম দুই বলে ৩ রান দেওয়ার পরে টানা দুই বলে মোসাদ্দেক ও সৈকতের উইকেট শিকার করে হ্যাটট্রিকের আশা জাগান শহিদুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই ওভার সম্পন্ন করেন এই পেসার। ৫ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো জেমকন খুলনা।

তার আগে টস হেরে ব্যাটিং করে খুলনা। শুরুতেই জহুরুল ইসলাম ও ইমরুল কায়েসের উইকেট হারায় দলটি। দুইটি উইকেটই শিকার করেন ডানহাতি স্পিনার নাহিদুল ইসলাম। ভালো খেলতে থাকা জাকির হাসান ২০ বলে ২৫ রান করে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।

চতুর্থ উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়েন আরিফুল হক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৩ বলে ২১ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে আউট হন আরিফুল। শুভাগত হোম ১২ বলে ১৫ রান করে ফেরেন শরিফুল ইসলামের শিকার হয়ে।

খুলনার পক্ষে একাই লড়াই করেছিলেন অধিনায়ক রিয়াদ। সপ্তম ওভারে নেমে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলেন তিনি। টুর্নামেন্টে নিজের সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন খুলনার অধিনায়ক। তার ৪৮ বলের অপরাজিত ইনিংসটি সাজান ছিল ৬টি চার ও ২টি ছক্কায়।

নির্ধারিত ২০ ওভারে খুলনা পেয়েছিল ১৫৫ রানের সংগ্রহ। চট্টগ্রামের পক্ষে নাহিদুল ও শরিফুল ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

জেমকন খুলনা ১৫৫/৭ (২০ ওভার)
রিয়াদ ৭০*, জাকির ২৫, আরিফুল ২১, শুভাগত ১৫, ইমরুল ৮, মাশরাফি ৫;
নাহিদুল ২/১৯, শরিফুল ২/৩৩, মোসাদ্দেক ১/২০, মুস্তাফিজ ১/২৪।

গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ১৫০/৬ (২০ ওভার)
সৈকত ৫৩, শামসুর ২৩, লিটন ২৩;
শহিদুল ২/৩৩, শুভাগত ১/৮, আল আমিন ১/১৮।

ফলাফল : ৫ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন জেমকন খুলনা।

ম্যাচসেরা: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (জেমকন খুলনা)।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *