চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকার প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রধান অন্তরায় অগণতান্ত্রিক সরকারের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। দেশের জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষায় বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলমান।
বিএনপি গণতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষপাত মূলক আচরণে গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। এই সরকার দীর্ঘ ১৪ বছর অগণতান্ত্রিক পন্থায় একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। তাই আগামী চসিক নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
তিনি আজ শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে মোহাম্মদ নগরে ৪৩ নং আমিন শিল্প অঞ্চল ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ডা.শাহাদাত হোসেন প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণায় নিজেদেরকে মানবিক পুলিশ হিসেবে দাবি করছেন। ভোট মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। বর্তমান সরকারের অধীনে সকল নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার হরণের আপনারা প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন। বিগত নির্বাচনের কোনো নারী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় নাই। চটগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১০ লক্ষাধিক নারী ভোটার রয়েছে। তারা আগামীর ২৭ জানুয়ারি ভোট সেন্টারে গিয়ে ভোট দিতে পারবে কিনা তাদের মধ্যে সংশয় বিরাজ করছে। যদি আপনারা নিজেদেরকে সত্যিকার অর্থে মানবিক পুলিশ দাবি করে থাকেন। তাহলে সরকারের অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে আসন্ন চসিক নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার্থে ভোটারদের ভোট সেন্টারে যেতে উদ্বুদ্ধ করুন এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, অগণতান্ত্রিক সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর অমানবিক আচরন করছে। প্রতিনিয়ত জুলুম, নির্যাতন, খুন করছে, গুম করছে, তারপরও নেতা-কর্মীদের হতাশ হয়নি, মাথা নোয়াননি, হার স্বীকার করেননি। বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়নি। চট্টগ্রামবাসী বিএনপির দিকে আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। বিএনপি আন্দোলনের অংশ হিসাবে চসিক নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, পরাজিত হওয়ার জন্য নয়। চট্টগ্রামবাসীর ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বচনে অংশ নিয়েছে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি অতীতে যেমন লড়াই-সংগ্রাম করেছে, এখনও লড়াই করেছে বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে। নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, চসিক নির্বচনে সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সকল ভেদাভেদ ভুলে সাহস নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নিতে হবে। তবেই কাঙ্খিত বিজয় অর্জন সম্ভব হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, এই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নিয়ে আসেনি। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তাদের একটাই লক্ষ্য, একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু রাখা। আজকে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় বসে রয়েছে। বিএনপি একটা মুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে তৈরি করার জন্য সংগ্রাম করেছে। অচিরেই সেই বিজয় অর্জন হবে।
৪৩ নং আমিন শিল্পাঞ্চল শিল্প অঞ্চল সাংগঠনিক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এফ এ সেলিম এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইস্কান্দার মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, এতে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সকল সহ প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হাই, সহ ধর্ম সম্পাদক রঞ্জিত বডুয়া, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জসিম, থানা বিএনপি নেতা বাবুল কোম্পানি, মফজল কোম্পানি, সালামত আলী, ডা.ফরহাদ, রুহুল আমিন, মোহাম্মদ তানহা, পমপম বডুয়া, মোহাম্মদ তৌহিদ, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মনিরুল ইসলাম মনি, জিয়াউর রহমান জিয়া, তহিদুল ইসলাম রাসেল, গুলজার হোসেন, আবদুল মান্নান, মো: হাসান, আসাদুজ্জামান রুবেল,জাকির হোসেন মিশু, ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ দিদারুল আলম দিদার, সেলিম আনসারী, আব্দুল খালেক,মোহাম্মদ সোলায়মান, আব্দুল হালিম কালু প্রমুখ।
Leave a Reply