৪, ৯, ২, ০, ৪, ০, ৮, ৪, ০, ৪, ১ – সংখ্যাগুলো সাজিয়ে আপনি বানিয়ে ফেলতে পারেন অনেকগুলো ফোন নাম্বার। তবে এগুলো মূলত অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটসম্যানদের স্কোরকার্ড। অজি পেসারদের সামনে এমনই বেহাল দশা হয়েছে ভারতের। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। নিজেদের প্রায় ৮৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্কোরে অলআউট হয়েছে কোহলিরা।
১ উইকেটে ৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে ভারত। ব্যাটিংয়ে ছিলেন ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল এবং নাইটওয়াচম্যান জাসপ্রিত বুমরাহ। দলীয় ১৫ রানের মাথায় নিজের বলে নিজে ক্যাচ নিয়ে জাসপ্রিত বুমরাহর উইকেট তুলে নেন প্যাট কামিন্স। তৃতীয় উইকেটে মায়াঙ্ক আগারওয়াল আর চেতেশ্বর পুজারা প্রায় ২০ বল টিকলেও কোনো রান নিতে পারেননি। কামিন্সের দুর্দান্ত এক ডেলিভারি পুজারার ব্যাট স্পর্শ করে জমা পড়ে টিম পেইনের গ্লাভসে।
পুজারার বিদায়ের পরের ওভারেই জশ হ্যাজলউডের বল উইকেটরক্ষকের হাতে দিয়ে আসেন আগারওয়াল। ৪০ বলে ৮ রান করে ফিরে যান তিনি। ঐ ওভারের পঞ্চম বলেই আজিঙ্কা রাহানে ফ্রন্টফুটে পুশ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষের হাতে ক্যাচ দেন। ১৫ রানে ১ উইকেট থেকে ১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত।
ধ্বংসস্তুপ থেকে দলকে টেনে তুলতে পারেননি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। রাহানের বিদায়ের পর কোহলিকে নিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত করেন প্যাট কামিন্স। কাভার ড্রাইভ খেলতে গিয়ে অভিষিক্ত ক্যামেরন গ্রিনের হাতে ক্যাচ দেন কোহলি। দারুণ ক্যাচ নেন গ্রিন।
সপ্তম উইকেটে রান যুক্ত হয় সাত। ঋধিমান সাহার বিদায় ঘটান জশ হ্যাজলউড। ৪ রান করে মারনাস লাবুশেনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। পরের বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ফিরিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ২০০ তম উইকেট শিকার করেন হ্যাজলউড। অশ্বিনের ব্যাট ছুঁয়ে পেইনের কাছে যাওয়ার পর অশ্বিন রিভিউ নিলেও বাঁচেননি। এরপর হনুমা বিহারীর উইকেট নিয়ে নিজের পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন হ্যাজলউড।
দলীয় ৩৬ রানের মাথায় কামিন্সের শর্ট বল খেলতে গিয়ে চোট পান মোহাম্মদ শামি। ফিজিও মাঠে এসে তার হাতে ব্যথানাশক স্প্রে প্রয়োগ করলেও আর ব্যাটিং করতে পারেননি তিনি। শামি রিটায়ার্ড হার্ট হলে ৩৬ রানে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস সমাপ্ত হয়।
এর আগে ভারতের সর্বনিম্ন টেস্ট সংগ্রহ ছিল ৪২ রান। ১৯৭৪ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ৫০ রানের নিচে এবং ২৫তম বারের মতো ১০০ রানের নিচে অলআউট হলো ভারত।
টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের ২৬। ভারতের ৩৬ রান টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর।
Leave a Reply