বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় যুবলীগ সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৩

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া মহাবিদ্যালয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান, সবুজ হোসেন ও হৃদয় আহম্মেদ।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, রাত থেকে অভিযান পরিচালনা করে কুমারখালীর বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে মোট চারজন জড়িত রয়েছে বলে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছেন। অপরজনের নাম বাচ্চু। সে এখনও পলাতক রয়েছে।

অধিকতর তদন্ত চলছে। এর পেছনে যারা জড়িত আছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

ঘটনার পর গেল রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে কয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ। এতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অন্যদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

প্রসঙ্গত, গেলো বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে কুমারখালীর কয়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাংচুর করা হয়। কলেজের রাত্রীকালীন পাহারাদার খলিল মিয়া বলেন, ওই সময় তিনি দুটি মোটরসাইকেলে করে পাঁচজনকে চলে যেতে দেখেন।

এদিকে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

বিপ্লবী নেতা বাঘা যতীন কুষ্টিয়ার এই কয়াতেই তার মামার বাড়িতে ১৮৮৯ সালের ৮ ডিসেম্বরে জন্মগ্রহণ করেন। নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও তিনি ১৯১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ভারতের বালেশ্বর বুড়িবালাম তীরে মাত্র চারজন যোদ্ধা নিয়ে বিশাল ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরের সশস্ত্র যুদ্ধ করেন। এই যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মারা যান। ২০১৬ সালে কয়া মহা বিদ্যালয়ের সামনে বাঘা যতীনের এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়। গেলো ৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে পৌরসভার নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর করা হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *