রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বাড়ির গৃহকর্ত্রী ও গৃহকর্মীকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর ধানমন্ডি ২৮ নম্বর সড়কের ২১ নম্বর বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন বাড়ির গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম (৬৫ ও গৃহপরিচারিকা দিতি (২০)।
আফরোজার স্বামী মনির উদ্দিন তারিম বড় ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় তার বডিগার্ড বাচ্চুকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে বিকালে ২১ বছর বয়সী নতুন এক কাজের মেয়েকে বাসায় নিয়োগ দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেই মেয়েরও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ জানান, খবর পেয়ে ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে মরদেহ দু’টি উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
বিকেল চারটার পর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ধারণা করে তিনি আরো বলেন, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে। হত্যাকাণ্ডের কারণ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত বলা সম্ভব না।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ধানমন্ডি থাকার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হক জানান, রুম ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুই রুমে দুইজনকে গলাকাটা অবস্থায় দেখা যায়। পুলিশের ক্রাইম সিন ও সিআইডি ঘটনাস্থলে এসেছে। এ ঘটনায় বাচ্চু নামে ওই বাড়ির এক নিরাপত্তাকর্মী ও বেলায়েত নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, শুক্রবার বাড়িটির ওই ফ্ল্যাটে ২১ বছর বয়সী নতুন একজন গৃহকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর নতুন রাখা ওই গৃহকর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
নিরাপত্তাকর্মী নুরুজ্জামান জানান, বাসার মালিকের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় বাচ্চু নামে একজন ওই বাসায় থাকতেন। আজ বিকেল ৩টা-সাড়ে ৩টার দিকে ওই বাসায় একজন কাজের মহিলাকে নিয়ে আসেন বাচ্চু। বিকেল ৪টার পর বাচ্চু কয়েকবার বাসা থেকে নিচে নামেন আবার উপরে উঠেন। ৬টার দিকে বাচ্চু বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
‘এর কিছুক্ষণ পর বাচ্চুর সঙ্গে আসা ওই কাজের মহিলা বাসার নিচে নেমে বলেন, এ বাসায় বেতন কম দেবে। এখানে কাজ করবেন না চলে যাবেন। এরপর নুরুজ্জামান ওই নারী ও বাচ্চুকে বলে যেতে বলেন। তখন ওই মহিলা বলেন, বাচ্চু নাই, আমি চলে গেলাম। এরপর সে বাসা থেকে চলে যায়। বাচ্চুও আর ফিরে আসেনি।
রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আজিমুল হক বলেন, বাসার ভেতরে আলমারি ভাঙা ছিলো। আমরা সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করছি।
Leave a Reply