চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী জননেতা ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি চসিক নির্বাচনের জন্য শতভাগ প্রস্তুত। তবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা সন্দিহান। আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব, সেই উৎসবমূখর পরিবেশ এখন ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্তমান নির্বাচনের সার্বিক চিত্র গণতন্ত্রের জন্য একটি আঘাত।
নির্বাচন কমিশন যে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলেছে, একে জনগণের ম্যান্ডেট বলা যায় না। নির্বাচনের প্রতি জনগণের যে অনীহা, ভোটাররা যে অনাস্থা প্রকাশ করছেন সেটি একটি অশুভ লক্ষণ। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জয়ের জন্য । ভোটারদের কেন্দ্রমূখি করতে পারলে আর ভোটাররা নির্ভিগ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে বিএনপির বিজয়কে কেউ ঠেকাতে পারবেনা।
তিনি সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ৪১ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের সাথে নগরীর একটি রেষ্টুরেন্টে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রমূখি করতে আমাদের কাউন্সিলর প্রার্থীদের ঘরে ঘরে গিয়ে মা বোনদের বুঝাতে হবে এবং তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। আর প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকার পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে যেন নির্বিঘ্নে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে।এই জন্য নির্বাচন কমিশন ও পুলিশসহ দায়িত্বে থাকা সকলকে নির্বাচনের সুষ্টু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন,বর্তমান সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নিজেদের অপকর্মে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ভোটারদের ওপর তারা বিশ্বাস রাখতে পারছে না। তারা উপলব্ধি করছে তাদের পায়ের তলে মাটি নেই। ক্রমশ: গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে তারা। যুগে যুগে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত পতিত স্বৈরশাসকদের প্রেতাত্মা ভর করেছে এই ভোট ডাকাত সরকারের ঘাড়ে। তারা গায়ের জোরে আজীবন ক্ষমতায় থাকার গভীর দুরভীসন্ধি পূর্ণ করতে চাচ্ছেন। এখন তার দলের নেতারা প্রকাশ্যে তাদের নেত্রীর অভিলাষের কথা বলে বেড়াচ্ছেন।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, এবারের নির্বাচনে ইভিএম এ ভোট হবে। তাই ভোটার আইডি কার্ড ব্যাতিত কাউকে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার পাশাপাশি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ মূলক নিবার্চন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে ভূমিকা রাখতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এসএম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ শাহ আলম,কাউন্সিলর প্রার্থী ইস্কান্দার মির্জা, আব্দুল মান্নান, নগর আহবায়ক কমিটির সদস্য কাউন্সিলর প্রার্থী শামসুল আলম, কাউন্সিলর প্রার্থী মাহবুবুল আলম, কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসেম, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, কামরুল ইসলাম।
আরো উপস্থিত ছিলেন ১নং থেকে ৪১ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাজুল ইসলাম রাশেদ, ইয়াকুব চৌধুরী, হাজী ইলিয়াছ,আজম উদ্দিন, হাসান লিটন, হাসান চৌধুরী ওসমান, আব্দুস সাত্তার সেলিম, রফিক উদ্দিন চৌধুরী, সৌহরাব হোসেন শাহীন, চৌধুরী সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী রাশেদ, সালাউদ্দিন কায়ছার লাভু, এ কে এম আরিফুল ইসলাম ডিউক, ইয়াসিন চৌধুরী আষু, মোহাম্মদ লিয়াকত আলী, আবু মহসিন চৌধুরী, এম এ মালেক, মোহাম্মদ মহসিন, এস.এম ফরিদুল আলম, শহীদ মোহাম্মদ চৌধুরী, মোহাম্মদ সেকান্দর, এসএম জামাল উদ্দিন জসিম, হাজী মো.সালাউদ্দিন, হাবিবুর রহমান, দিদারুর রহমান লাভু,সাদেকুর রহমান রিপন, হাজী মোহাম্মদ ইসমাইল বালী, এডভোকেট তারিক আহমেদ, মোহাম্মদ হারুন, মোহাম্মদ ওসমান, হাজী হানিফ সওদাগর,সরফরাজ কাদের রাসেল, মোহাম্মদ হারুন, নুরুল আবছার, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মনোয়ারা বেগম মনি, খালাদা বোরহান, এডভোকেট পারভিন আক্তার চৌধুরী, রোকসানা বেগম মাধু, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, সখিনা বেগম, জেসমিনা খানম, মনোয়ারা বাবুল, কামরুন নাহার লিজা, মাহমুদা সোলতানা ঝর্ণা, নাসরিন আক্তার, আরজু নাহার মান্না, সাহিদা খানম, জাহিদা হোসেন নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply