টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়ল ৫ শতাধিক ঘর

কক্সবাজারের টেকনাফে একটি নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গতকাল বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পে এ অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সামছু-দৌজা বলেন, গতরাত ৩টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আকস্মিক আগুন লাগে। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তাঁরা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরইমধ্যে ক্যাম্পটির অন্তত ৫ শতাধিক ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।’

অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার আরো বলেন, আগুন লাগার কারণ প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। তবে বিষয়টি জানতে সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে কাজ চলছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণেও কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও রোহিঙ্গারা জানায়, গতরাত ৩টার দিকে টেকনাফ নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পের ই-ব্লকের একটি ঘর থেকে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ঘরগুলোর চাল ও বেড়া পলিথিনের হওয়ায় এবং ঘরে ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় তার অধিকাংশই বিস্ফোরিত হয়ে আগুন দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস ও রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা বসতি, ১টি ইউএনএইচসিআরের কমিউনিটি সেন্টার এবং পাশের দুইটি স্থানীয় লোকের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া পাশের ভাসমান আরো কিছু ঝুপড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুল হান্নান অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভোররাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ চলছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *