চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে উপলক্ষে দলীয় প্রচারনার ৭মদিনে নগরীর ২৫নং রামপুর, ১১নং দক্ষিন কাট্টলী ও ২৬নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও ২৬নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী লোটন, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, থানা আওয়ামীগের আলহাজ ফয়েজ আহম্মদ, মো. আবু তাহের, মহাগনর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম কায়সার, ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইসমাইল, সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসেন সওদাগর, ২৫নং রামপুর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, যুগ্ম আহ্বায়ক ও কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুস সবুর লিটন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ছাবের আহমদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাজিমুল ইস মজমুদার, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ১১, ২৫ ও ২৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হুরে আরা বেগমসহ থানা ও ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবলী, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উন্নয়নের নেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে নৌকায় ভোট দিয়ে চট্টগ্রামে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ধারাকে আরো গতিশীল করার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
গণসংযোগকালে বিভিন্ন পথ সভায় সমম্বিত প্রয়াসে চট্টগ্রাম নগরবাসীর সকল প্রকার দুর্ভোগ দুর করে চট্টগ্রামকে নান্দনিক স্বপ্নপুরী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের মানুষের দাবী আমার দাবী। চট্টগ্রামের মানুষের সমস্যা, আমার সমস্যা। উন্নত চট্টগ্রামের দাবী, আমারও দাবী।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দেওয়ায়, বাংলাদেশকে তিনি উন্নয়নের সকল সূচকে ব্যাপক অগ্রগতিতে বিশ্ব দরবারে উচ্চতর মর্যাদার আসনে নিয়ে যেতে পেরেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শীতা বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়েছে।
একটি দারিদ্র পীড়িত দেশকে তিনি মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করে যেভাবে উন্নত রাষ্ট্রের দিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তাঁর প্রসংশায় পঞ্চমুখ। পাহাড়, সমতল, সাগর, নদী ও প্রাকৃতিক বন্দর চট্টগ্রাম নিয়ে সম্ভাবনার শতভাগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক হাব হিসেবে গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে পরিকল্পনা সাজিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যানের রাজনীতি করে উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। চট্টগ্রামের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে আমি জনগণকে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে মূখর ছিলাম। জলাবদ্ধতা, দখল, দুষণ রোধ এবং নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি নিশ্চিত করার দাবী নিয়ে সোচ্চার ছিলাম, এখনো আছি। দেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছি। পরিবেশ সংরক্ষনের জন্য আন্দোলন করেছি। শিক্ষার সুযোগ ও উন্নয়নের দাবীতে সোচ্চার থেকেছি।
খেলাধূলা, সংস্কৃতির বিকাশ ও স্বাস্থ্য সেবার মান ও পরিধি বৃদ্ধি নিয়ে দাবীর কথা বলি। করোনা কারণে কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে যথাসাধ্য সহায়তা পাঠাতে সচেষ্ট ছিলাম। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করেছি। মুক্তি করোনা আইসোলন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি। আইসোলেশন সেন্টারের সাথে সাধারন রোগীদের জন্য আউটডোর চিকিৎসা ও পরামর্শ সেন্টার করেছি। চট্টগ্রামের ব্যাপক পরিকল্পনার সাথে সমম্বয় রেখে চট্টগ্রামের মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ও উন্নত নাগরিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করতে তিনি আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে, চট্টগ্রামের মানুষের সুখ দুখের সাথী হিসেবে আমি ২৭ তারিখের মেয়র নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আপনাদের ভোট চাই।
যাতে আমার ও আমার চট্টগ্রামের মানুষের দাবীগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি। আপনাদের চুড়ান্ত রায় যদি আমার নেত্রীর মনোয়নের সাথে মিলে এবং নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেন, আমি সমম্বিত পরিকল্পনায় সেবার মান উন্নয়নে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করব, নাগরিক দাবীসমূহ পূরণ করব।
এছাড়াও আজ দুপুরে নগরীর ২৪ নং আগ্রাবাদ ওয়ার্ডস্থ মনছুরাবাদ ও মোল্লাপাড়া এলাকার জনসাধারনের সাথে মত বিনিময় ও আওয়ামী লীগ দলীয় নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
সৈয়দ মো. জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, সৈয়দ মাহমুদুল হক, সিরাজুল ইসলাম, আবদুস সামাদ, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুর রহমান মিয়া, আবদুল বারেক, এম এ হান্নান কাজল, নাজমুল হক ডিউক, ওসমান গণি আলমগীর, রবিউল হাসান সুমন, কাজী মাহমুদুল হাসান রনি, আরিফুল ইসলাম, আবদুল্লা জুবায়ের হিমু, বেলাল সাত্তার, সাইফুদ্দিন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply