নগরীর বাকলিয়া থানাধীন দেওয়ানবাজারে কে ডি এস গলিতে পোস্টারিং করার সময় ছুরিকাঘাতে আহত ওমরগনি এমইএস কলেজের ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুর রহমান রোহিত (২২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) ভোর ৫ টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যায়। নিহত রোহিত বাকলিয়া থানাধীন ডিসি রোডের বাসিন্দা বলে জানা যায়।
সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর দিন ৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন রোহিত। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় রোহিতকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে, অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আইসিইউতে স্থানান্তর করে চিকিৎসক। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আট দিনের মাতায় ১৫ জানুয়ারি ভোর ৫ টায় মৃত্যু বরণ করেন আশিকুর রহমান রোহিত।
এ ঘটনায় ৯ জানুয়ারি বাকলিয়া থানায় মহিউদ্দিন, বাবু ও সাবু নামের তিনজনকে এজাহারনামীয় আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন রোহিতের ভাই জাহিদুর রহমান। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।
আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাকলিয়া থানার উপপরিদর্শক মোঃ ইয়াসির আরাফাত বলেন, অপরাধীরা কেউ আইনের উর্ধ্বে না। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে আমরা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আশাকরি শিগগিরই আমরা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।
এদিকে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে আশিকুর রহমান রোহিতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চকবাজার গুলজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। তারা অভিযুক্ত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া যুবলীগ নেতা সাকিবুর রহমান বলেন, আশিকুর রহমান রোহিতকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। রোহিতের হত্যাকারী মহিউদ্দিন, বাবু এবং সাবু এখনও গ্রেফতার হলোনা কেন? তার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
Leave a Reply